বদ্রীনাথ মন্দিরের কিছু অজানা তথ্য

বদ্রীনাথ মন্দিরের কিছু অজানা তথ্য

বদ্রীনাথ মন্দির হল ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের বদ্রীনাথ শহরে অবস্থিত একটি হিন্দু মন্দির। এই মন্দিরের অপর নাম বদ্রীনারায়ণ মন্দির। এটি হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর মন্দির। বদ্রীনাথ শহর ও বদ্রীনারায়ণ মন্দির চারধাম ও ছোটো চারধাম নামে পরিচিত তীর্থগুলির অন্যতম। বদ্রীনাথ মন্দির দিব্য দেশম নামে পরিচিত ১০৮টি বৈষ্ণব তীর্থেরও একটি। প্রতি বছর এপ্রিল মাসের শেষভাগ থেকে নভেম্বর মাসের প্রথম ভাগ পর্যন্ত ছয় মাস এই মন্দিরটি খোলা থাকে।

শীতকালে হিমালয় অঞ্চলের তীব্র প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য ওই সময় এই মন্দির বন্ধ রাখা হয়। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় গাড়ওয়াল পার্বত্য অঞ্চলে অলকানন্দা নদীর তীরে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩,১৩৩ মি  উচ্চতায় এই মন্দিরটি অবস্থিত। বদ্রীনাথ ভারতের জনপ্রিয় তীর্থগুলির একটি। ভাগবত্‍ পুরাণ, স্কন্দ পুরাণ এবং মহাভারতে উল্লেখ রয়েছে বদ্রীনাথ মন্দিরের।

পদ্মপুরাণেও বদ্রীনাথের আশপাশের অঞ্চল পবিত্র ক্ষেত্র বলে উল্লেখ করা আছে।এই অঞ্চলে প্রচুর বদ্রী গাছের ঘন জঙ্গল ছিল। সে কথা এডউইন টি অ্য়াটকিনসন তাঁর দা হিমালয়ান গ্যাজেটার বইয়ে উল্লেখ করেছেন।পুরাণে কথিত আছে এখানে একটি বদ্রীগাছের নীচে ধ্যান করেন স্বয়ং শ্রীবিষ্ণু। সেই কারণেই এই অঞ্চলের নাম বদ্রীনাথ।অনেকে বলেন যে অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত এই এলাকায় বৌদ্ধ মন্দির ছিল।

আদি শংকরাচার্য এটিকে হিন্দু মন্দিরে পরিণত করেন। মন্দিরের গঠনশৈলী ও উজ্জ্বল রং দেখেও অনেকে এই মতবাদের স্বপক্ষে ব্যাখ্যা দেন।বদ্রীনাথের মন্দিরে ঢোকার মুখে ৩.৩ ফুট লম্বা মূর্তি মন্দিরের অন্যতম মূল আকর্ষণ।বদ্রীনাথ মন্দিরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসবটি হল ‘মাতা মূর্তি কা মেলা’।

গঙ্গার পৃথিবীর অবতরণকে উপলক্ষ করে এই উৎসব আয়োজিত হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, বদ্রীনাথের মা গঙ্গাকে পৃথিবীর জনসাধারণের কল্যাণের জন্য বারোটি শাখায় ভাগ করে দিয়েছিলেন। তারই সম্মানে এই উৎসব পালিত হয়। তাই যদি কখনো সময় ঘুরে আসুন এই বদ্রীনাথের মন্দির থেকে।এটি একটি অভূতপূর্ব জায়গা।