জোড়হাট জেলার কিছু পর্যটন স্থান

গুয়াহাটির থেকে ৩১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উজনি অসমের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। আহোম শাসনের শেষ রাজধানী জোড়হাটকে অসমের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। অসমের চা উৎপাদনের অন্যতম স্থান জোড়হাট প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে জনপ্রিয়। মাজুলী মহকুমা জোড়হাট জেলার এক অংশ। মাজুলী জোড়হাট জেলার সাথে অসমের একটি উল্লেখযোগ্য পর্যটনস্থল।
জোড়হাটে টোকোলাই চা গবেষণা কেন্দ্র, হাতীগড় শিবদোল, বুঢ়ীগোসানী দেবালয়, গরখীয়া দোল, ঢেকীয়াখোরা বর নামঘর, লাচিত বরফুকন মৈদাম, অসম সাহিত্য সভার মুখ্য কার্য্যালয় সাল্দ্রকান্ত সন্দিকৈ ভবন ইত্যাদি উল্লেখ্যযোগ্য পর্যটন স্থান আছে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক এখানকার কিছু পর্যটন স্থান সম্পর্কে।
১.জোড়হাট জিমখানা ক্লাব- স্থাপিত হবার বছর থেকে এখানে ঘোড়দৌড় অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে, সব বিজয়ীকে "গভার্ণরস্ কাপ" প্রদান করা হয়।এখানে থাকা 'নাইন হোল গল্ফ কোর্স' এশিয়ার অন্যতম পুরানো গল্ফ কোর্স ও বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ পুরানো এখানে অনেক লন টেনিস গ্রাস কোর্ট, সুইমিং পুল, বিলিয়ার্ডস্, পোলো ও সিনেমা থিয়েটারের সুবিধা আছে।
২.দক্ষিণপাট সত্র- দক্ষিণপাট সত্র হল অসমের চারটি রাজসত্রের মধ্যে দ্বিতীয় সারির সত্র। শিষ্যের সংখ্যা অন্যান্য রাজসত্রের মধ্যে তুলনায় বেশি। আহোম রজা জয়ধ্বজ সিংহের সময় ১৫৮৪ শকে মাজুলিতে স্থাপন করা হয়। প্রথম সত্রাধিকার ছিলেন শ্রীশ্রী বনমালিদেব।
৩.আউনীআটী সত্র- আউনীআটী সত্র হল অসমএর প্রথম শ্রেণীর রাজসত্র আহোম রাজা জয়ধ্বজ সিংহ মাজুলীতে ১৫৭৫ শকে এই সত্র নির্মাণ করান। বর্তমান সত্রাধিকারী হলেন শ্রীশ্রী পীতাম্বর দেব গোস্বামী।
৪.ঠেঙাল ভবন- ঠেঙাল ভবন হল অসমের জোড়হাট জেলাতে অবস্থিত একটি পুরানো ভবন রায়বাহাদুর শিরপ্রসাদ বরুয়া ১৮৮০এর দশকে ঠেঙাল ভবনটি নির্মাণ করেছিলেন।১৯২৯ সালে তিনি এখানে একটি ছাপাশাল স্থাপন করান। প্রথমে, এর থেকে একটি সাপ্তাহিক বাতরি কাকত প্রকাশিত হয়েছিল।