শোণিত পুর জেলার কিছু পর্যটন স্থান

শোণিতপুর ভারতের আসাম রাজ্যের একটি প্রশাসনিক জেলা৷ জেলাটির প্রধান সদর হচ্ছে তেজপুর৷ ২০১১ সনের লোকগণনা অনুসারে নগাঁও জেলা এবং ধুবড়ী জেলার পর তৃতীয় জনবহুল জেলা৷ শোণিতপুর জেলা প্রাকৃতিকভাবে অতি সুন্দর একটি জেলা এবং বিভিন্ন জাতি-জনগোষ্ঠীর মিলনভূমি৷ শোণিতপুর জেলা বিভিন্ন ঐতিহাসিক সময়ের সাক্ষী৷অসমের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি অনুপম স্থান হল শোণিতপুর জেলা। উষা পাহাড়, অগ্নিগড়, মহাভৈরব মন্দির, চিত্রলেখা উদ্যান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থান।তাহলে জেনে নেওয়া যাক এখানকার কিছু পর্যটন স্থান সম্পর্কে।
১.চিত্রলেখা উদ্যান- তেজপুর শহরের একটি ঐতিহাসিক উদ্যান। পূর্বে এই উদ্যানের নাম কোল পার্ক ছিল। চিত্রলেখা উদ্যানকে তেজপুরের এক যাদুঘর বলা যায়। ১৯০৬ সালে সেই সময়ের উপায়ুক্ত এইচ ডব্লিউ জি কোলে তেজপুরের বিভিন্ন স্থানে আলাই-আথানি হয়ে পড়ে থাকা মনোমহা শিলায় খোদিত মূর্তি গোটা এক উদ্যান গঢ়ার চেষ্টা করেছিল। পরে এর নাম "চিত্রলেখা উদ্যান" রাখা হয়।
২.গুপ্তেশ্বর দেবালয় বা গুপ্তেশ্বর মন্দির- ঢেকীয়াজুলি শহর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার ভিতর ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে শিঙরী পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত হিন্দু ধর্ম-এর এক দেবালয়। এই দেবালয় শিঙরী মন্দির হিসেবেও জানা যায়, কালিকা পুরাণএ শৃংগটক নামে এর উল্লেখ আছে।
৩.জ্যোতি ভারতী বা পকী- ১৮৭৮ সালে তার ককাদেউতাক হরবিলাস আগররালার নির্মাণ করা ঘরটির নাম পূর্বে ছিল 'পকী'। সেই সময়ে তেজপুর-এ একমাত্র পকী ব্যক্তিগত বাসভবন ছিল জন্যই এই ঘরটি 'পকী' নামে জনা যেত। এখানে জ্যোতিপ্রসাদ আগররালার গানের গ্রামোফোন রেকর্ড, তার হস্তাক্ষর থাকা কাগজ, বিভিন্ন তথ্য-পাতি, শোরা পালেং ইত্যাদি সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
৪.বিশ্বনাথ ক্ষেত্র- বিশ্বনাথ চারিআলি শহর থেকে প্রায় ১০ কিঃমিঃ দক্ষিণে একটি প্রাচীনতম পবিত্র স্থান। দশম শতাব্দীতে রচিত কালিকাপুরাণএ বিশ্বনাথকে হিন্দুধর্ম-এর একটি প্রধান তীর্থক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ হতে দেখা যায়। আহোম রাজত্বে বিশ্বনাথ ক্ষেত্রে কেবাটাও দৌল-দেবালয় নির্মাণ করা হয়েছিল।