ডুয়ার্সের কিছু দর্শনীয় স্থান

ডুয়ার্সের কিছু দর্শনীয় স্থান

ডুয়ার্স শব্দের অর্থ দরজা বা প্রবেশদ্বার।এটি পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশের পশ্চিমবঙ্গ ও অসম নিয়ে গঠিত। ডুয়ার্স দ্বারা ভুটান ও ভারতের মধ্যে যোগাযোগ সম্পন্ন হয়। এই অঞ্চল ভুটান তথা উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার। এই অঞ্চলের গড় উচ্চতা ১৫০-১৭০০ মিটারের মধ্যে।হিমালয়ের পাদদেশ তথা সমভূমি ও পর্বত অঞ্চলের মিলনস্থানে ডুয়ার্স এর অবস্থান।

ডুয়ার্সকে সংকোশ নদী দুই ভাগে ভাগ করেছে। এই নদীর পূর্বের অংশকে বলা হয় পূর্ব ডুয়ার্স বা অসম ডুয়ার্স এবং পশ্চিমের অংশকে বলে পশ্চিম ডুয়ার্স বা পশ্চিমবঙ্গ ডুয়ার্স। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার এবং অসমের ধুবড়ি, কোকড়াঝাড়, বরপেটা, গোয়ালপাড়া ও বঙাইগাঁও জেলা নিয়ে ডুয়ার্স অঞ্চল গঠিত।তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই ডুয়ার্সের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে।

১.সুনতালেখোলা- কিছুটা নির্জনতা, প্রকৃতির সাথে কথা বলা, নিজের কর্মব্যস্ততাকে দূরে সরিয়ে নিজের মতো সময় কাটাতে জঙ্গল,নদী, পাহাড়ের সমন্বয়ে গঠিত ডুয়ার্সের সুলতালেখোলা।ডুয়ার্সের সুলতালেখোলা ডুয়ার্সের মানচিত্রে প্রকৃতির পাঠশালা, যদিও জায়গাটি দার্জিলিং জেলার অন্তর্গত।নীল আকাশ,ঘন সবুজ বনানী বিস্তৃত গিরিরাজের পাদদেশে অবস্থিত ডুয়ার্সের স্বল্প পরিচিত এই স্থানটি চমৎকার একটি স্টুরিস্ট স্পট।

২.সামসিং- ডুয়ার্সের সামসিং আদতে একটি ছোট পাহাড়ি জায়গা যা প্রকৃতিপ্রেমী দের কাছে একটি অভূতপূর্ব জায়গা। শিলিগুড়ি থেকে ৮২ কিমি দূরে সামসিং সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে আনুমানিক ৩০০০ফুট উঁচুতে অবস্থিত।শহরের গোলমাল, ধুলো, ধোঁয়া থেকে দূরে নিশ্চিন্তে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় এই জায়গায়।পাহাড়ি জায়গা তাই একটি ছোটখাট ট্রেক সেরে নিতে পারেন।পথে পরবে ঝরনা,চা বাগান।

৩.জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান- জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান যা আগে ছিল জলদাপাড়া বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর দুয়ার জেলায় পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান।গরুমারার মতো এখানেও দেখা যায় হাতি, নানা প্রজাতির হরিণ,গাউর, বুনো শুয়ার,বাঘ আর অসংখ্য পাখি। এখানে হাতি সাফারির ব্যবস্থা আছে।

৪.রকি আইল্যান্ড- এই আইল্যান্ডটি সামসিং থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে মূর্তি নদীর তীরে অবস্থিত একটি দর্শনীয় স্থান।রকি আইল্যান্ড শব্দটার মানে দাঁড়ায় পাথুরে দ্বীপ।আর দ্বীপ তো সাধারণত সমুদ্রে হয়।