পুর-নির্বাচনের পর চিকিত্সক-ভোট ঘিরেও শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল

বার বার অভিযোগ ওঠে, তা সত্ত্বেও পার পেয়ে যান। ভোটেও জেতেন নির্মল মাজি (Nirmal Maji), এমনটাই অভিযোগ। পুর-নির্বাচনের পর চিকিত্সক-ভোট (IMA) ঘিরেও শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল ও তুমুল অশান্তি হয়েছে শনিবার। শেষমেশ প্রকাশিত হল ফলাফল (Votes)। আইএমএ নির্বাচনে ফের জয়ী তৃণমূলের (TMC) চিকিত্সক-বিধায়ক নির্মল মাজি। তবে মাত্র সাত ভোটে জয়ী নির্মল।
বিরোধীদের দাবি, নির্মল মাজি কোনও ভোট করতে দেননি। ছাপ্পা হয়েছে। আইএমএ-র কলকাতা শাখার নির্বাচনে, সভাপতি পদে নির্মল মাজির বিরুদ্ধে মনোনয়ন দেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ চিকিত্সক প্রশান্ত ভট্টাচার্য। প্রতিদ্বন্দ্বীকে 'বেইমান', 'গদ্দার' বলে কটাক্ষ করেন নির্মল মাজি। 'তিন বারের বেশি কারও সভাপতি থাকা ঠিক নয়', পাল্টা বলেন প্রশান্ত। অভিযোগ, নির্বাচনের দিন ঘটেছে চড় মারার ঘটনাও।
পরিস্থিতি এতটাই বাড়াবাড়ি হয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণে আনতে আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশ কর্মীরা। বারো ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গণনা হয়েছে। ৩৬৬ ভোটের মধ্যে ৩৬১ ভোটে গণনা হয়। পাঁচটি ভোট বাতিল হয়েছে। প্রত্যেকটা রাউন্ডে ২৫টি করে ভোট ছিল। একটি ভোটে ৩৫ জন প্রার্থীর প্যানেলের কাউন্টিং চলছিল। শেষমেশ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রশান্ত ভট্টাচার্যের থেকে ৭ ভোটে জয়ী হয়েছেন নির্মল মাজি।
বিপক্ষের প্রার্থী অভিজিত্ চৌধুরী সেক্রেটারি পদে মানব নন্দীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। ট্রেজারার পদে নির্মল মাঝির বিপরীত গোষ্ঠীর অনির্বাণ দোলুই ৩০ ভোটে জিতেছেন। উল্লেখ্য, এসএসকেএম হাসপাতালে কুকুরের ডায়ালিসিস করানোর চেষ্টা থেকে শুরু করে ছেলের এমবিবিএস পরীক্ষার সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে রাখা, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে চিকিত্সকদের নির্দেশ দেওয়া, বিভিন্ন হাসপাতালে সুপারদের তাঁর কথা শুনে চলতে বাধ্য করা,
কথা না শুনলে গালিগালাজ—এমন একাধিক অভিযোগ নির্মল মাজির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে জীবনদায়ী ওষুধ কেলেঙ্কারিতেও জড়িয়েছে তাঁর নাম। কিন্তু কোনও বারই নির্মলের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা, যথাযথ তদন্তের ব্যবস্থাও করেনি স্বাস্থ্য দফতর, এমনই অভিযোগ চিকিত্সক মহলের একাংশের।