বাংলাদেশের দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থান

বাংলাদেশের দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থান

বাংলাদেশের দিনাজপুরের ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন ও সমৃদ্ধ। সাহিত্য ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যমন্ডিত দিনাজপুর জেলা চাল, লিচু ও আম উৎপাদনের জন্যে বিখ্যাত। উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে রয়েছে কান্তজীর মন্দির, রামসাগর দীঘি, রাজবাড়ী, নয়াবাদ মসজিদ, লিচু বাগান, স্বপ্নপুরী স্পট ইত্যাদি।তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই দিনাজপুর এর কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে।

 দীপশিখা স্কুল- দিনাজপুর পুর জেলা থেকে ২২কিলোমিটার দূরে বিরল উপজেলার রুদ্রপুরে অবস্থিত মাটির তৈরি একটি ভিন্ন ধর্মী বিদ্যানিকেতন এই দীপশিখা স্কুলটি। এখানে স্থানীয় মানুষের ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। বিরল উপজেলার রুদ্রাপুর গ্রামে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকার দরুন ১৯৯৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর একটি বিদ্যালয় গড়ে তোলে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিশু থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিরল উপজেলার রুদ্রাপুর গ্রামে মেটির মাটির স্কুলঘর নির্মাণ শুরু হয়। জার্মানির "শান্তি" নামের এক দাতাসংস্থা একাজে অর্থায়ন করে।  অস্ট্রিয়ার লিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীপশিখা প্রকল্পের কর্মীরা ইমারতটি নির্মাণের সাথে যুক্ত ছিলেন। জার্মান স্থপতি অ্যানা হেরিঙ্গার ও এইকে রোওয়ার্গ এই ইমারতটির নকশা করেন।  ইমারতটি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে মাটি, খড়, বালু ও বাঁশ, দড়ি, খড়, কাঠ, টিন, রড, ইট ও সিমেন্ট। মাটি ও খড় মেশানো কাদা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এর দেয়াল দেয়ালের ভিতের ওপর দেওয়া হয়েছে আর্দ্রতারোধক। 

 দিনাজপুর রাজবাড়ী-  বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের দিনাজপুর জেলার সদর উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত। 'রাজবাটী' গ্রামের সন্নিকটে এই স্থানটি “রাজ বাটিকা” নামে বিশেষভাবে পরিচিত। উল্লেখ্য যে, প্রাচীন এই রাজ বাড়িটির নামেই গ্রামের নামকরণ হয়েছে। এটি দিনাজপুর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এর দক্ষিনে অবস্থিত।  দিনাজপুর রাজবাড়ি ও রাজ্য রাজা দিনরাজ ঘোষ স্থাপন করেন। কিন্তু অনেকের মতামত পঞ্চদশ শতকের প্রথমার্ধে ইলিয়াস শাহীর শাসনামলে সুপরিচিত “রাজা গণেশ” এই বাড়ির স্থপতি। রাজা দিনরাজ ঘোষ গৌড়েশ্বর গণেশনারায়ণের (১৪১৪-১৪১৮ খ্রি:) অন্যতম রাজকর্মচারী। তিনি ছিলেন উত্তর রাঢ়ের কুলীন কায়স্থ ।

রাজা দিনরাজের নাম থেকেই রাজ্যের নাম হয় 'দিনরাজপুর', যা বারেন্দ্র বঙ্গীয় উপভাষায় পরিবর্তিত হয়ে হয় দিনাজপুর । গৌড় সংলগ্ন সনাতনী রাজ্য দিনাজপুর পাঠান, মুঘল ও নবাবদের বহু যুদ্ধে পরাস্ত করে চিরকাল এসেছে । সপ্তদশ শতাব্দীর শেষের দিকে শ্রীমন্ত দত্ত চৌধুরী দিনাজপুরের জমিদার হন। কিন্তু শ্রীমন্ত দত্ত চৌধুরীর ছেলের অকাল মৃত্যুর হওয়াতে, তার ভাগ্নে “সুখদেব ঘোষ” তার সম্পত্তির উত্তরাধিকার হন। দিনাজপুরের মহারাজা প্রাণনাথ রায়'র শাসনকালে রাজ্যের ক্ষমতা প্রভূত বৃদ্ধি পায় ।

মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্দ্বন্দ্ব'র সুযোগে তিনি তার প্রতিবেশী মুঘল অধিকৃত অঞ্চলের জমিদার ও তালুকদারদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করে নিজের রাজ্যের পরিধি বাড়িয়ে নিয়েছিলেন ।  তাঁর চল্লিশ বছরের শাসনকালে দিনাজপুর রাজ্য বাংলার প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। নবাব মুর্শিদকুলী খাঁর পর মুর্শিদাবাদের নবাব রূপে মসনদে বসেন শুজাউদ্দীন মুহম্মদ খাঁ । ১৭৩৩ খ্রিস্টাব্দে বিহার প্রদেশ বাংলা নবাবি'র সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল।

এই সময় শুজাউদ্দীন ঢাকায় এবং বিহার ও উড়িষ্যা শাসনের জন্য আরও দুইজন নায়েব নাজিম নিযুক্ত করেছিলেন। এদিকে ১৭২২ খ্রিস্টাব্দে দিনাজপুরের রাজা প্রাণনাথ মারা গেলে তাঁর উত্তরাধিকারী রাজা রামনাথ রায় রাজসিংহাসনে বসেন । ক্ষমতায় এসে রাজা রামনাথ পতিরাম, পত্নীতলা ও গঙ্গারামপুর অঞ্চল অধিকার করেন । এরপর তিনি গৌড়ের পথে মালদহের চাঁচল, খরবা ও গাজোল পরগনা অধিকার করতে থাকেন ।

সামগ্রিকভাবে তাঁর রাজ্যের আয়তন ও সামরিক ক্ষমতা প্রভূত বৃদ্ধি পায় । রাজা রামনাথের বিরাট ক্ষমতা ও ঐশ্বর্য দেখে নবাব সুজাউদ্দিন অত্যন্ত শঙ্কিত হয়ে পড়েন । তিনি রংপুরের নব নিযুক্ত মুঘল ফৌজদার সৈয়দ মহম্মদ খাঁ কে দিনাজপুর আক্রমণ ও দখলের আদেশ দেন । সৈয়দ মহম্মদ খাঁ'ও রামনাথ এর ক্ষমতার প্রতি ঈর্ষান্বিত ও ক্ষুব্ধ ছিল ।  কথিত যে, সৈয়দ মহম্মদ খাঁ এক বিশাল সেনাবাহিনী সঙ্গে নিয়ে দিনাজপুর শহরে নিকটবর্তী রাজবাড়ি আক্রমণ ও লুঠ করতে এগিয়ে আসেন।

অমিত ক্ষমতাশালী রাজা রামনাথও এক বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে  এগিয়ে চললেন সৈয়দ মহম্মদ খাঁ ও তার নবাবি সৈন্যবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করতে। দুপক্ষের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয় । দিনাজপুর সৈন্যবাহিনী'র পরাক্রমে নবাবী সেনা কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে যায় । সৈয়দ মহম্মদ খাঁ পরাজিত হয়ে শেষ পর্যন্ত রাজা রামনাথের হাতে বন্দী হলেন। অবশেষে মুর্শিদাবাদের নবাব সুজাউদ্দিন খান, রাজা রামনাথ রায়'র সাথে সন্ধি করেন এবং নবাবের অনুরোধে পরে পরাজিত সৈয়দ মহম্মদ খাঁকে রামনাথ মুক্তি দিয়েছিলেন। 

 নয়াবাদ মসজিদ- দিনাজপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ২০ কিমি দূরে কারহোল উপজেলা এর নয়াবাদ গ্ৰামে অবস্থিত।১৭৯৩ সালে সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম এর রাজত্বকালে এটি তৈরি করা হয়েছিল।  মসজিদের প্রবেশের প্রধান দরজার উপর স্থাপিত ফলক হতে জানা যায় এটি সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের রাজত্ব কালে ২ জৈষ্ঠ্য, ১২০০ বঙ্গাব্দে(ইংরেজি ১৭৯৩ সালে) নির্মাণ করা হয়। সেসময় জমিদার ছিলেন রাজা বৈদ্যনাথ। যিনি ছিলেন দিনাজপুর রাজ পরিবারের সর্বশেষ বংশধর। এলাকার অধিবাসীদের থেকে জানা যায় যে, ১৮ শতকের মাঝামাঝিতে কান্তনগর মন্দির তৈরির কাজে আগত মুসলমান স্থপতি ও কর্মীরা এই মসজিদটি তৈরি করেন। তারা পশ্চিমের কোন দেশ থেকে এসে নয়াবাদে বসবাস শুরু করে এবং তাদের নিজেদের ব্যবহারের জন্য এই মসজিদটি তৈরি করে।

 স্বপ্নপুরী- এই জায়গাটা দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা এর আফতাবগঞ্জে অবস্থিত। এখানে বিভিন্ন চলচ্চিত্র নির্মিত হওয়ার জন্য এটি সহজেই মানুষ এর আগ্ৰহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এখানে বিভিন্ন রাইডস, চিড়িয়াখানা, রেস্ট হাউজ, বাগান, হ্রদ, বিশ্বের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ , 'রংধনু' আর্ট গ্যালারি, 'মহা মায়া ইন্দ্রজাল' নামে জাদুর গ্যালারী এবং কেন্দ্রীয় পিকনিকের একটি কেন্দ্র আছে। ভি,আই,পি, রেস্ট হাউস ১০টি, মধ্যম শ্রেণীর ১৪ টি এবং অন্যান্য ০৮ টি রেষ্ট হাউস নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে আরও রেষ্ট হাউস নির্মাণসহ স্বপ্নপুরীর উন্নয়নের কাজ চলছে। কেবলকার, ঘোড়ারগাড়ী, চিড়িয়াখানা, কৃত্রিম চিড়িয়াখানা, কৃত্রিম মস্য জগত , রেষ্টুরেন্ট আছে।

এখানে কৃত্রিম মাছ এবং বিভিন্ন প্রাণীদের সঙ্গে, বিশ্বকে খুঁজে পেতে পারেন। বিনোদনের জন্য রয়েছে ছোট অনেক রাইডস। কৃত্রিম লেকে স্পিডবোটে চড়ে নিতে পারেন দুরন্ত অভিজ্ঞতা। প্রাণিজগতের, এমি, মোরাল, ডাইনোসর, কাব্যপ্রতিভা এবং অনেক অন্যান্য প্রাণীর মতো কিছু প্রাণীর কৃত্রিম মূর্তিও রয়েছে। ভাস্কর্য এবং চিত্রকলার বিভিন্ন ধরনের জন্য 'রংধনু' আর্ট গ্যালারি,. 'মহা মায়া ইন্দ্রজাল' এ, জাদু উপভোগ করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের প্রাণী দ্বারা চিড়িয়াখানা পূর্ণ । কেউ পরিবার সহ কৃত্রিম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং কার্যক্রম এই পর্যবেক্ষক সঙ্গে তার পুরো দিনে ভোগ করতে পারেন। এখানে প্রতি বছর প্রচুর দর্শক আসে।

 রামসাগর দীঘি- এই দীঘিটি মানুষ এর খনন করা সবচেয়ে বড় দীঘি যা দিনাজপুর জেলার তেজপুর গ্ৰামে অবস্থিত।এই দীঘির পশ্চিম পাড়ে একটি ঘাট রয়েছে।এই দীঘির পাড়ে একটি জাতীয় উদ্যান গড়ে তোলা হয়েছে।ঐতিহাসিকদের মতে, দিনাজপুরের বিখ্যাত রাজা রামনাথ (রাজত্বকাল: ১৭২২-১৭৬০ খ্রিষ্টাব্দ) পলাশীর যুদ্ধের আগে (১৭৫০-১৭৫৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে) এই রামসাগর দিঘি খনন করেছিলেন। তারই নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় রামসাগর। দিঘিটি খনন করতে তৎকালীন প্রায় ৩০,০০০ টাকা এবং ১৫,০০,০০০ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়েছিল। রামসাগর বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে আস ১৯৬০ সালে।

১৯৯৫-৯৬ সালে এই দিঘিকেে আধুনিক পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়। ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল এটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়।  এই দিঘি নিয়ে প্রচলিত আছে বিভিন্ন লোককথা। কথিত আছে, ১৭৫০ খ্রিষ্টাব্দে প্রচণ্ড এক খরা দেখা দিলে পানির অভাবে মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে হাজার হাজার প্রজা। এসময় দয়ালু রাজা প্রাণনাথ স্বপ্নাদেশ পেয়ে একটি পুকুর খনন করেন। মাত্র ১৫ দিনে এর খনন কাজ সম্পন্ন হয়। 

কিন্তু সেই পুকুর থেকে পানি না ওঠায় একসময় রাজা স্বপ্নে দৈববাণী পেলেন যে, তার একমাত্র ছেলে রামকে দীঘিতে বলি দিলে পানি উঠবে। স্বপ্নাদিষ্ট রাজা, দীঘির মাঝখানে একটি ছোট মন্দির নির্মাণ করেন। তারপর এক ভোরে যুবরাজ রামনাথ সাদা পোষাকাচ্ছাদিত হয়ে হাতির পিঠে চড়ে যাত্রা শুরু করলেন সেই দীঘির দিকে। দীঘির পাড়ে পৌঁছে যুবরাজ রাম সিঁড়ি ধরে নেমে গেলেন মন্দিরে। সঙ্গে সঙ্গে দীঘির তলা থেকে অঝোর ধারায় জল উঠতে লাগল।

চোখের পলকে যুবরাজ রামনাথসহ জলেতে ভরে গেল বিশাল দীঘি।  আরও একটি লোককাহিনী শোনা যায়। দিঘি খনন করার পর রাজা রামনাথ জল না উঠলে স্বপ্ন দেখেন রাজা দিঘিতে কেউ প্রাণ বিসর্জন দিলে জল উঠবে। তখন রাম নামের স্থানীয় এক যুবক দিঘিতে প্রাণ বিসর্জন দেয়। পরবর্তিতে রাজার নির্দেশে সেই যুবকের নামে দিঘির নামকরণ করা হয় রামসাগর। 

 কান্তজীর মন্দির- এই মন্দিরটি দিনাজপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী মন্দির।এটি কান্তজিউ মন্দির নামে পরিচিত।তথ্যানুসারে জানা যায় জমিদার প্রাণনাথ এই মন্দির নির্মাণ করেছিল।এটি কান্তনগর গ্ৰামে অবস্থিত। কান্তজিউ মন্দির বা কান্তজী মন্দির বা কান্তনগর মন্দির বাংলাদেশের দিনাজপুরে অবস্থিত একটি প্রাচীন মন্দির। মন্দিরটি হিন্দু ধর্মের কান্ত বা কৃষ্ণের মন্দির হিসেবে পরিচিত যা লৌকিক রাধা-কৃষ্ণের ধর্মীয় প্রথা হিসেবে বাংলায় প্রচলিত। ধারণা করা হয়, মহারাজা সুমিত হর কান্ত এখানেই জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।  ২০১৭ সালের কলকাতা বইমেলায় এই মন্দিরের আদলে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন করা হয়। 

১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ভূমিকম্পে এই মন্দির ধ্বংস হওয়ার আগে রাবণেষু, জন হেনরি এর ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে তোলা ছবিতে মন্দিরের নয়টি রত্ন বর্তমান। দিনাজপুর শহর থেকে ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) উত্তরে এবং কাহারোল উপজেলা সদর থেকে সাত কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে সুন্দরপুর ইউনিয়নে, দিনাজপুর-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের পশ্চিমে ঢেঁপা নদীর তীরবর্তী গ্রাম কান্তনগরে অবস্থিত এই প্রাচীন মন্দির।  মন্দিরের বাইরের দেয়াল জুড়ে পোড়ামাটির ফলকে লেখা রয়েছে রামায়ণ, মহাভারত এবং বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী। পুরো মন্দিরে প্রায় ১৫,০০০-এর মতো টেরাকোটা টালি রয়েছে। 

উপরের দিকে তিন ধাপে উঠে গেছে মন্দিরটি। মন্দিরের চারদিকের সবগুলো খিলান দিয়েই ভেতরের দেবমূর্তি দেখা যায়। মন্দির প্রাঙ্গণ আয়তাকার হলেও, পাথরের ভিত্তির উপরে দাঁড়ানো ৫০ ফুট উচ্চতার মন্দিরটি বর্গাকার। নিচতলার সব প্রবেশপথে বহু খাঁজযুক্ত খিলান রয়েছে। দুটো ইটের স্তম্ভ দিয়ে খিলানগুলো আলাদা করা হয়েছে, স্তম্ভ দুটো খুবই সুন্দর এবং সমৃদ্ধ অলংকরণযুক্ত। মন্দিরের পশ্চিম দিকের দ্বিতীয় বারান্দা থেকে সিঁড়ি উপরের দিকে উঠে গেছে। মন্দিরের নিচতলায় ২১টি এবং দ্বিতীয় তলায় ২৭টি দরজা-খিলান রয়েছে, তবে তৃতীয় তলায় রয়েছে মাত্র ৩টি করে।