ছত্রিশগড়ের দর্শনীয় স্থান

ছত্রিশগড়ের দর্শনীয় স্থান

ছত্তিশগড় কেবল এই সহস্রাব্দের শুরুতে অস্তিত্ব লাভ করে। ২০০০ সালের নভেম্বর মাসে ছত্তিশগড় মধ্য প্রদেশ থেকে উৎকীর্ণ করা হয় ভারতীয় ইউনিয়নের ২৬-তম রাজ্য গঠন করার উদ্দেশ্যে। ছত্তিশগড় ভ্রমণ করা কালীন এখানকার প্রকৃত সবুজ গালিচা আপনাকে স্বাগত জানাবে। ছত্তিশগড় বিশেষভাবে ভারতীয় বনাঞ্চল এবং হীরা সহ অন্যান্য খনিজ সম্পদের ১২ শতাংশ অংশ দ্বারা সমৃদ্ধ। তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই ছত্তিশগড় এর বিশেষ কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে।

 কাওয়ার্ধা- ছোট সুপ্রাচীন শহর কাওয়ার্ধা কটি শান্ত পশ্চাদপসরণ যা প্রকৃতির উত্তেজনাপূর্ণ দৃশ্য এবং একটি সমৃদ্ধ আদিবাসী জীবনের দৃশ্যের প্রস্তাব দেয়। কাওয়ার্ধার রাজকীয় প্রাসাদ ভারতীয় রাজপদের কিছু সূক্ষ্ম ঝলক আপনার কাছে পরিবেশন করে। এই প্রাসাদ ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৭ সালে নির্মিত হয়। এই প্রাসাদ এখন পর্যটক বাসস্থান হিসাবে কাজ করে। 

 কাঁকের- এই হাজার বছর পুরানো শহরে দর্শকদের পরিতৃপ্তির জন্য বহু চমকপ্রদ অরণ্য,জলপ্রপাত এবং নিদারূণ আদিবাসী গ্রাম রয়েছে। কাঁকেরের প্রাসাদটিতে এখনও এই এলাকার রাজকীয় পরিবাররা বসবাস করেন।

 চিত্রকূট জলপ্রপাত- এই অশ্বখুরাকৃতি জলপ্রপাতের উচ্চতা হল ১০০ ফুট। এই জলপ্রপাতের কোণে আপনি বহু সুন্দর পাখি দেখতে পাবেন যা এই স্থানে সৌন্দর্য যোগ করে। এই জলপ্রপাত দ্বারা সৃষ্ট শব্দ এতটাই তীব্র যে এর পাশে সৃষ্ট অন্য কোন আওয়াজ শোনা প্রায় অসম্ভব।

 চম্পারণ- চম্পারণ শহর ঋষি বল্লবাচার্যের জন্মস্থান ছিল। প্রত্যেক বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এই সম্মানিত ঋষির জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান পালিত হয়। এটা এমন এক উপলক্ষ যা বহু সংখ্যক মানুষদের ঘনসন্নিবেশের সাক্ষী বহন করে।

 বাস্তার- এই নিখুঁত আদিবাসী ভূমি বন্যপ্রাণী প্রেমীদের জলপ্রপাত সহ বন, বন্য প্রাণী, সুপ্রাচীন মন্দির, আদিবাসী নাচ এবং গান অন্বেষণ করার জন্য এক বন্য আমন্ত্রণ জানায়। এটি দেশের এক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশ বান্ধব -পর্যটন গন্তব্যস্থল। বাস্তার একদা ভারতের এক বৃহত্তম জেলার ছিল।

 ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যান- ইন্দ্রাবতি জাতীয় উদ্যান ছত্রিশগড় রাজ্যের একমাত্র ব্যাঘ্র সংরক্ষন হিসাবে দাবী রাখে। এখানে আপনি বিভিন্ন ধরণের বন্যপ্রাণী দেখতে পাবেন। এর পাশাপাশি এই রাজ্য ৩-টি জাতীয় উদ্যান এবং ১১-টি অভয়ারণ্যের অধিকারী। এদের মধ্যে, কাঙ্গের ঘাটি জাতীয় উদ্যান এবং আচানকমার অভয়ারণ্য ছত্তীসগঢ়ের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণ।