চিত্তরঞ্জন দেব এর জীবনী

চিত্তরঞ্জন দেব এর জীবনী

চিত্তরঞ্জন দেব  Chittaranjan dev রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপর গবেষক ছিলেন। তিনি একজন কবি, প্রাবন্ধিক ছিলেন। তিনি শান্তিনিকেতনে থাকতেন। তাকে 'রবীন্দ্র সংস্কৃতি পরিষদ', তার জীবনব্যাপী কাজ ও সাহিত্য ক্ষেত্রের অবদানসমূহের জন্য 'রবীন্দ্র তত্ত্বাচার্য' উপাধি দেয়।

চিত্তরঞ্জন দেব ১৯২৪ সালের ২৮ মার্চ বর্তমান সিলেট জেলার চাটিয়াইন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে স্থানীয় স্কুলে ভর্তি হন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষা দিয়ে দ্বিতীয় হন। ১৭ বছর বয়সে উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের জন্য তিনি শান্তিনিকেতনে যান এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।

চিত্তরঞ্জন দেব কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের দ্বারা ব্হুলাংশে প্রভাবিত হয়েছিলেন। তিনি রবীন্দ্র পরিষদে যোগ দিয়ে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অধীনে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ "মনসাঞ্জলি" প্রকাশিত হয়।চিত্তরঞ্জন দেবের বয়স যখন ১৭, তখন তিনি শান্তিনিকেতনে আসেন।

শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্র পরিষদের Archival Section-এ ১৯৪৩ সালে তিনি যোগদান করেন।চিত্তরঞ্জন দেব দীর্ঘ প্রায় ৪৫ বছর দেশ পত্রিকায় বিভিন্ন বিষয়ের উপর বহু গবেষণা প্রবন্ধ লিখেছেন। তিনি "মমতার হৃদয়স্পর্শী গল্প " লিখে জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হন এবং এটি বিশ্বের একুশটি ভাষায় অনূদিত হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লিখিত সমস্ত রচনাসূচি একত্রিত করে তিনি "রবীন্দ্র রচনাকোষ" প্রণয়ন করেন।

তার লেখা কয়েকটি বিখ্যাত গ্ৰন্থ হল- মনসাঞ্জলি, মমতার হৃদয়স্পর্শী গল্প,প্রসঙ্গ রবীন্দ্রনাথ,শান্তিনিকেতন,বাংলার পল্লীগীতি, রবীন্দ্র রচনাকোষ,তারাপীঠের একতারা,পল্লীগীতি ও পূর্ববঙ্গ,বাংলার লোকগীত-কথা,শ্রীনিকেতন,শান্তিনিকেতন পরিক্রমা।চিত্তরঞ্জন দেবের জীবনব্যপি কাজ ও সাহিত্য সাধনায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রবীন্দ্র সংস্কৃতি পরিষদ তাঁকে "রবীন্দ্র তত্ত্বাচার্য" উপাধিতে ভূষিত করে।চিত্তরঞ্জন দেব ২০১০ সালের ১৩ জুন ৮৬ বছর বয়সে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।