শিবসাগর জেলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থান

শিবসাগর জেলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থান

আহোম সাম্রাজ্যর একটি ঐতিহাসিক স্থান। ছশ বছরীয়া আহোম রাজবংশের বহু উত্থান-পতনের সাক্ষী এই শিবসাগর। সমগ্র জেলাটিতে আহোম শাসনকালের অলেখ স্থাপত্য,ভাস্কর্য, মৈদাম, পুখুরী, গড়, আলিবাট ইত্যাদি সিঁচরতি হয়ে আছে। রংঘর, কারেংঘর, তলাতল ঘর, চরাইদেউ, শির দ'ল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য পর্যটনের স্থান। তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই শিবসাগর জেলা এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থান সম্পর্কে।

১.কারেং ঘর বা তলাতল ঘর- তলাতল ঘর শিবসাগরর মূল কেন্দ্র থেকে মাত্র ৩ কিঃমিঃ দূরে রংপুর-এ অবস্থিত। এই আহোম স্বর্গদেউদের দ্বারা নির্মিত একটি রাজমহল। তলাতল ঘর আহোম রাজ্যর স্মৃতিচিহ্নসমূহের মধ্যে আকারে অনেকটা বড়।প্রসাদটি সাতমহলীয়া; চারটি মহল মাটির ওপর ও তিনটি মহল মাটির তলায় আছে।

২.সরাইদেউর মৈদাম বা সরাইদেও- সোণারি শহর থেকে প্রায় ২০ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত। একসময় আহোম রাজপরিবার ও উচ্চ পদস্থ রাজকর্মচারীদের সমাধিস্থল। মাটি নির্মিত পিরামিড সদৃশ বহু মৈদাম আজও অক্ষত অবস্থাতে আছে। মৈদামের অভ্যন্তরে থাকা ধন-সোনা ব্রিটিশরা লুঠ করে নিয়ে গেছিল বলে মনে করা হয়।

৩.আজানপীরের দরগাহ- শরাগুরি চাপরিতে এই দরগাহ অবস্থিত। শিবসাগর থেকে ২২ কিঃমিঃ দূরত্বে সুদূর পারস্য থেকে আসা সন্ত জিকির ও জারির স্রষ্টা আজানপীরের সমাধিস্থল। সকল ধর্মের লোক এখানে শ্রদ্ধা জনায়।

৪.জয়দৌল- লালুকসোলা রাজা চাউদাঙর হাতে নৃশংসভাবে মৃত্যুবরণ করা মাতা জয়মতীর স্মৃতিতে রুদ্রসিংহ জয়সাগর পুখুরী ও জয়দৌল নির্মাণ করেন।

৫.রুদ্রদৌল- পিতা রুদ্রসিংহ-এর স্মৃতিতে ১৭৭৩ সালে রাজা লক্ষীসিংহ রুদ্রসাগর পুখুরী ও তার পারত রুদ্রদৌল নির্মাণ করে। এর শিবসাগর শহর থেকে দূরত্ব প্রায় ৪ কিঃমিঃ।

৬.গৌরীদৌল- বররাজা ফুলেশ্বরী কুঁররী একটি পুখুরী খন্দাই তার পাড়ে এই দৌলটি নির্মাণ করে। শিবসাগর শহর থেকে ১২ কিঃমিঃ দূরত্বে গৌরীসাগরে গৌরীদৌল অবস্থিত।