কর্নুল শহরের ইতিহাস

কর্নুল বা কুর্নুল Cornwall হলো দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কুর্নুল জেলার জেলাসদর। কর্নুল শহরটিকে প্রায়শই রায়ালসীমার প্রবেশদ্বার বলেও উল্লেখ করা হয়। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ১লা অক্টোবর থেকে ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৩১শে অক্টোবর অবধি শহরটি অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের ঘোষিত রাজধানী ছিলো। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা তথ্য অনুসারে ৪৩০২১৪ জন লোকের বাস।
এই শহরটি অন্ধ্রপ্রদেশের পঞ্চম জনবহুল শহর।প্রাচীন ঐতিহাসিক বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ ও বই থেকে কর্নুলের পুরোনো যে মূল নামটি পাওয়া যায় তা হলো, কণ্ডনবূরু বা কণ্ডনোলু। মনে করা হয় এটি ছিল তুঙ্গভদ্রা নদী পারাপারের একটি পথ যেখানে এক্কাগাড়ি চালকরা নিজেদের গাড়ির চাকা পারাপারের সুবিধার্থে পিচ্ছিল করতো। স্থানীয় ভাষায় কণ্ডন শব্দের অর্থ পিচ্ছিল করা।
কর্নুল শহরটি ১৫.৮৩৩৩° উত্তর ৭৮.০৫° পূর্ব স্থানাঙ্কে অবস্থিত। শহরটির গড় উচ্চতা সমুদ্রতল থেকে ২৭৩ মিটার উচ্চ। তুঙ্গভদ্রা নদী ছাড়াও আরো দুটি ছোটো নদী হুণ্ড্রী ও নীবা এই শহরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কর্নুল থেকে কাডাপা অবধি বিস্তৃত পরিবহনের সুবিধার জন্য ওলন্দাজদের নির্মিত কর্নুল কাডাপা খালটি এই শহরে অবস্থিত। খালটির মাধ্যমে পরে উন্নত সেচকার্য চালু করা হয়।
শহর এবং পার্শ্ববর্তী পর্যটনস্থলগুলির মধ্যে রয়েছে শহরের উত্তরপূর্ব কোণে অবস্থিত কোণ্ডা রেড্ডি দূর্গ, যা স্থানীয় তেলুগু ভাষায় "কোণ্ডারেড্ডিবুরুজু" নামে পরিচিত। এটি একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য ও কর্নুলের প্রধান পর্যটক আকর্ষণ।শহরটির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত ওর্বকল রক গার্ডেন হলো একটি প্রাচীন গুহা ও গুহাচিত্রসহ একাধিক শিল্পকলা প্রদর্শনের ভাণ্ডার।
কর্নুলের নিকট ৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত রোল্লপাড়ু বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যটি একটি উল্লেখযোগ্য অভয়ারণ্য ও পাখিরালয়। অভয়ারণ্যটিতে পার্শ্ববর্তী তেলেঙ্গানা, কেরালা ও তামিলনাড়ু থেকে বহু পর্যটক এসে ভীড় জমান। হুণ্ড্রী নদীর তীরে অবস্থিত গাম্বাদ হলো অপর একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য।