শিবসাগর জেলা এর ইতিহাস

শিবসাগর জেলা, ভারতের অসম রাজ্যের একটি প্ৰশাসনিক জিলা৷ ঐতিহাসিকভাবে একটি অতি গুৰুত্বপূৰ্ণ জেলা। ছয়শ বছরের আহোম রাজবংশের বহু উত্থান-পতনের সাক্ষী এই শিবসাগর। সমগ্ৰ জিলাতে আসামের শাসনকালের অনেক স্থাপত্য, ভাস্কৰ্য, ময়দান, পুকুর, গড়, আলিবাট আদি স্থাপনা আছে।স্বৰ্গদেবতা রুদ্ৰসিংহর মৃত্যুর শিবসিংহ রাজসিংহাসনে বসে।
সিংহাসনে বহি চার গৰাকী কুঁৱৰী থকাৰ পিছতো স্বৰ্গদেও শিৱসিংহই চিনাতলীয়া নটৰ জীয়েক ফুলমতী বা ফুলেশ্বরিকে পৰ্বতীয়া কুঁবরি করে আনে।রাজার কুঁবরী হয়ে ফুলমতী নাম নেয় প্ৰমথেশ্বরী। ফুলেশ্বরী কুঁবরী কেবল সুন্দরী ছিলেন না,, ছিলেন অতি বুদ্ধিমতী এবং উচ্চাভিলাষী। রাজ্যাভিষেক হবার ছমাস না হতেই 'ছত্ৰভঙ্গ যোগ' পরার চেলু উলিয়াই স্বৰ্গদেবতাকে রাজকাৰ্যের জন্য অব্যাহতি দিলেন এবং সোনা রূপার মোহর মেরে নিজে বড় রাজা হ'ল।
কিন্তু এহেন প্ৰতাপী রাণীরও প্ৰতাপের এদিন শেষ হ'ল। প্ৰসব বেদনাতে জৰ্জরিত হয়ে ফুলেশ্বরী কুঁবরী ঢুকাই থাকিল। ফুলেশ্বরী কুঁবরীর মৃত্যুর পিছনে তেওঁরে ভনীয়েক দ্ৰৌপদীক স্বৰ্গদেবে বিবাহ করায়। রাণী হয়ে দ্ৰৌপদী অম্বিকা নাম নেয়। এইবার বড় রাজা হ'ল অম্বিকা। বড় রাজা হয়ে অম্বিকাই স্বামী শিবসিংহের নামে একটা পুকুর খোঁড়ে এবং তার পাড়ে দৌল নিৰ্মাণ করায়।
এই পুকুরটায় হ'ল শিবসাগর পুখুৰী। আহোম শাসনের প্ৰশাসনীয় কেন্দ্ৰ আছিল রংপুর নগর। কারেংঘরকে কেন্দ্ৰ করে চারপাশের অঞ্চলটি ছিল তাহানির রংপুর। বৃটিশরা এসে প্ৰথমে শিবসাগৰ পুকুরের আশে-পাশে এই অঞ্চলের প্ৰশাসনীয় কেন্দ্ৰ স্থাপন করেছিল। তারপর থেকে কালক্রমে এ অঞ্চলকে ধীরে ধীরে শিবসাগর নামে পরিচিত হয়।শিবসাগরের অৰ্থনীতি প্ৰধানত তেল গাছ, চা, এবং কৃষির ওপরে নিৰ্ভরশীল৷
২০১১ সনের লোকগণনা অনুসারে শিবসাগর জেলার জনসংখ্যা ১,১৫০,২৫৩ জন; ইয়াৰে পুরুষ ৫,৮৯,৪৫৪ জন এবং মহিলা ৫৬০,৭৯৯ জন। মহিলার সংখ্যা প্ৰতি ১০০০ পুরুষের বিপরীতে ৯৫১ জনী। জন-ঘনত্ব প্ৰতি বৰ্গ কিঃমিঃ-এ ৪৩১ জন। প্রতি বছরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৯.৩৭%। স্বাক্ষরতার হার ৮১.৩৬%।