ত্বকের সৌন্দর্য কিভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে মাখন জেনে নিন

ত্বকের সৌন্দর্য কিভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে মাখন জেনে নিন

অনেকের বাড়িতেই খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করতে মাখন ব্যবহার করা হয়। পাউরুটিতে চিনির সঙ্গে মাখনই হোক অথবা গরম ভাতে আলু সেদ্ধর সঙ্গে এক চামচ মাখন – আহ! স্বাদই অন্যরকম হয়ে যায়। আবার ধরুন অমলেট করতে অথবা কেক বানাতেও মাখন দরকার হয়। অনেকেই আবার একটু বেশি স্বাস্থ্য সচেতন, তাঁরা আবার সাদা মাখন অর্থাৎ নুন-হীন মাখন খান।

আসলে বাজারের গোল্ডেন মাখনের তুলনায় সাদা মাখন অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তবে, শুধু স্বাদ বাড়াতেই নয়, এই সাদা মাখন কিন্তু রূপচর্চায়ও বিশেষ কাজে লাগে। বাজারচলতি রাসায়নিক উপকরণযুক্ত ফেস প্যাক না লাগিয়ে বরং বাড়িতে সাদা মাখনের ফেস প্যাক লাগিয়ে দেখুন, ত্বক কেমন জেল্লাদার হয়ে ওঠে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক ত্বকের যত্নে মাখনের উপকারিতা।

১.সূর্যরশ্মি থেকে রক্ষা- অতি বেগুনি রশ্মি এর হাত থেকে রক্ষা পেতে মাখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করার পাশাপাশি ময়াশ্চারাইজ করে মাখন।

২.অ্যান্টিসেপটিক- মাখনের অ্যান্টিসেপটিক গুণ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে পারে। একজিমা, স্ট্রেচ মার্ক, কালো ছোপ দূর করতে পারে মাখন।

৩.অ্যান্টি এজিং- মাখনের ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি ত্বকে পুষ্টি জোগায়। বলিরেখা রুখে দিয়ে স্বাস্থ্য ধরে রাখে। ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ বোঝা যায় না।

৪.শিশুদের জন্য- বাচ্চাদের ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়। মাখনের মধ্যে ক্ষতিকারক রাসায়নিক না থাকায় শিশুদের ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায় মাখন।

৫.ঠোঁট- শীতে ফাটা ঠোঁটের যত্ন নিতে পারে মাখন। ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখে, ঠোঁট নরম করে মাখন।ফলে ঠোঁট ফাটে না।

৬.ইলাসটিসিটি- ত্বকের ইলাসটিসিটি ধরে রাখতে পারে মাখন। ফলে বয়স কম লাগে দেখতে।ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে না।