মরুশহরে তুষারপাতের অশনী সংকেত কি পৃথিবী ধ্বংসের পূর্ভাবাস!

মরুশহরে তুষারপাতের অশনী সংকেত কি পৃথিবী ধ্বংসের পূর্ভাবাস!

পৃথিবী কি ধ্বংস হতে চলেছে? অন্তত বাইবেল ধর্মের প্রচারকরা সেই ইঙ্গিতই পাচ্ছেন। প্রচারক পল বেগলেই বিশ্বাস করেন যে শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। একের পর এক ঘটনা সেই ইঙ্গতিই দিচ্ছে। বিশেষ করে বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ তারই এক উদাহরণ। এর মাধ্যমে স্পষ্ট হচ্ছে যে শেষ হতে চলেছে পৃথিবী এবং আবারও মানবজাতির মুক্তিতে প্রভু যীশু আবির্ভাব ঘটবে।

এই ধ্বংসের ত্বত্তকে আরও জোরদার করতে সম্প্রতি মরুভূমিতে তুষারপাতের উদাহরণ তুলে ধরেছেন ধর্মগুরুরা। তাঁদের মতে যে মরুভূমিতে প্রচন্ড গরম, তাপ থাকে, জলের অভাবে প্রাণ যায়, সেখানে তুষারপাত খুবই অস্বাভাবিক একটা ঘটনা। এর মাধ্যমে আরও একবার প্রমাণিত হচ্ছে যে মুছে যেতে চলেছে পৃথিবীর অস্বিত্ব। ৫০ বছরে প্রথমবার সৌদি আরবের আসির প্রদেশে তুষারপাত হয়েছে। মারাত্মক তুষারপাতের ফলে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে চলে যায়। -২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল তাপমাত্রা।

আলজেরিয়ার আইন সেফ্রায়ও তুষারপাত হয়। একে গেটওয়ে অব সাহারা বলা হয়। মূলত এই এলাকার তাপমাত্রা উর্দ্ধমুখীই থাকে। এভাবে তাপমাত্রার হেরফের যেন প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। যা কখনও হয়নি, তেমনই সব আশ্চর্যের ঘটনার সাক্ষী থাকছে বিশ্ববাসী। একেই ধ্বংসের শুরু বলে মনে করা হচ্ছে।  ইজরায়েল ৩৬৫ নিউজে বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী দেখানো হয়।

সেখানে ধর্মজাজক ইশায়াহের ভবিষ্যদ্বাণীর কথা তুলে ধরা হয়েছে যেখানে তিনি জানান যে, মরুভূমিতে ফুল ফুটলেই পৃথিবী শেষ ধরে নিতে হবে! এই ধরণের মন্তব্যের ফলে সাধারণ মানুষের মনেও সন্দেহ দানা বাঁধছে। সবাই প্রশ্ন করছেন, তাহলে কি সত্যিই পৃথিবী শেষের পথে? যেভাবে করোনার প্রকোপে মৃত্যুর মিছিল দেখেছে গোটা বিশ্ব, ঘরবন্দি হয়েছে, তারপর অনেকেরই মনের জোর ভেঙেছে।

আধ্যাতিকতাই শেষ, ঈশ্বরের পথেই মুক্তি, মানতে শুরু করেছেন অনেকে। শুধু মরুভূমি নয়, এবার নয়াদিল্লিতেও ঠাণ্ডা পড়েছিল অতিরিক্ত। গত ১১৯ বছরে এত কম তাপমাত্রা দেখেনি দিল্লিবাসী। অন্যদিকে ১৯৭১-র পর এবার স্পেনেও ভয়ঙ্কর তুষারঝড় হয়। যদিও ধর্মের ভিত্তিতে এগুলিই অশনী সংকেত বলে মনে করছেন, তবে বিজ্ঞানী ও গবেষকরা বলছেন যে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটছে এবং তা মানবজাতি অত্যাচারের ফল!

অহরহ গাছ কেটে ফেলা, বাঁধ তৈরি সহ আরও নানাভাবে ধ্বংস হচ্ছে আবহাওয়ার ভারসাম্য। তার ফলেই এই ধরণের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে, কার্বোনের মাত্রা অনেকটা বেড়েছে। যার জেরে সার্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে। বা কোথাও ঠান্ডা বাড়ছে।