মা দূর্গার এই মন্ত্র বাঁচাতে পারে আপনার পরিবার, দূর করতে পারে দাম্পত্য কলহ

মা দূর্গার এই মন্ত্র বাঁচাতে পারে আপনার পরিবার, দূর করতে পারে দাম্পত্য কলহ

দেবতাদের শত্রুভয় দূর করতে তাঁদের সম্মিলিত তেজে জন্ম নিয়েছিলেন দেবী দুর্গা! দুই-একটি পুরাণ বাদে আর সর্বত্রই দেবীর জন্মকথা এই সাক্ষ্য দিয়ে থাকে। দুর্গা ভারতীয় পুরাণেও যোদ্ধৃদেবী রূপে সুপরিচিতা, তাঁর দশ ভুজের দশ প্রহরণে সেই প্রমাণ মেলে। তাহলে দাম্পত্য জীবনে যদি প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়, তার হাত থেকে নিষ্কৃতি কী ভাবে দুর্গার কৃপায় সম্ভব?

এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে দুর্গা নামটির মধ্যেই। যিনি আমাদের সকল প্রকার দুর্গতি থেকে ত্রাণ করেন, তিনিই তো দুর্গা! ফলে, এই দিক থেকে দেখলে দাম্পত্য জীবনের দুর্গতিও দেবীর শরণ নিলে অবশ্য দূর হয় বইকি! এছাড়া দেবীর পুরাণকথাতেও রয়েছে বৈবাহিক যোগাযোগ!

ভুলে গেলে চলবে না- দেবীর রূপে আকৃষ্ট হয়ে মহিষাসুর প্রথমে তাঁকে দিয়েছিলেন বিবাহের প্রস্তাব! শুম্ভ-নিশুম্ভের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুই হয়েছিল এই শর্তে- যদি তাঁকে হারাতে পারে অসুরেরা, তবেই দুই ভাইয়ের মধ্যে একজনকে বিবাহ করবেন দেবী! এর আধ্যাত্মিক অর্থ বস্তুত এই যে অসুখী দাম্পত্যের প্রতিবন্ধকতা নাশ করছেন পরম কল্যাণময়ী দেবী।

আবার, শ্রীশ্রীচণ্ডীর অন্তর্গত অর্গলা স্তোত্রেও উল্লেখ রয়েছে- ভার্যাং মনোরমাং দেহি মনোবৃত্ত্যনুসারিনীম্! অর্থাত্‍ মন যেমন চাইছে, ঠিক তেমন স্ত্রীর কামনা করা দেবীর কাছে, তাঁর কৃপায় এই ভাবেই যেন দাম্পত্য সুখের হয়!তাই যদি দাম্পত্য বিবাদে জর্জরিত হয়, তাহলে প্রতি দিন নিয়ম করে দেবীর উপাসনা এবং একটি বিশেষ মন্ত্র জপ করতে হবে কয়েক বার! কী ভাবে এবং সেই মন্ত্রটিই বা কী, জেনে নেওয়া যাক বিশদে!

১. সবার প্রথমে সকালে স্নান করে নিতে হবে।

২. ভালো করে গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধ করতে হবে পূজার জায়গা।

৩. এবার সেখানে একটি কাঠের পিঁড়ি রাখতে হবে।

৪. এই পিঁড়ির উপরে একটি ১/১.৪ মিটার লাল কাপড় চার ভাগে ভাঁজ করে পাততে হবে। খেয়াল রাখা দরকার, কাপড় যেন পিঁড়ি পুরোটা ঢেকে রাখে। পিঁড়ির মাপ সেই অনুসারেই স্থির করতে হবে।

৫. এবার এই পিঁড়ির উপরে দেবীর একটি ছবি বা মূর্তি স্থাপন করতে হবে।

৬. ছবির পাশে জ্বালিয়ে দিতে হবে একটি প্রদীপ।

৭. এবার ওং ঐম হ্রীং ক্লীং চামুণ্ডায়ে বিচে মন্ত্র পাঁচ বার জপ করতে হবে।

৮. একটানা ২১ দিন এই ভাবে আরাধনা করতে হবে দেবীর, একদিনও বাদ দেওয়া যাবে না।