ঋষভের জন্য আটত্রিশেও তরতাজা মিশ্র

ঋষভের জন্য আটত্রিশেও তরতাজা মিশ্র

বয়স ৩৮। কিন্তু সেটা তাঁর কাছে একটা সংখ্যা মাত্র। দিল্লি ক্যাপিটালসের বর্ষীয়ান লেগস্পিনার অমিত মিশ্র আপাতত ব্যস্ত আইপিএলের প্রস্তুতিতে। জানাচ্ছেন, তাঁর বোলিং নিয়ে কে কী বলছেন, তা নিয়ে ভাবতে তিনি নারাজ। ক্রিকেটকে ভালবাসেন বলেই খেলে যাবেন তিনি। ২০১৭ সালে ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে শেষ খেলেছেন অমিত। তাঁর বোলিং সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন, বলের গতি কম। যে সম্পর্কে বর্ষীয়ান এই লেগস্পিনার সংবাদ সংস্থাকে বলছেন, ‍'‍'মানুষের ধারণা আমি পরিবর্তন করতে পারব না।

কিন্তু গত ১৩ বছর ধরে বিশ্বের সব চেয়ে কঠিন টি-টোয়েন্টি লিগে খেলে যাচ্ছি। সেটাই আমার কাছে কৃতিত্বের।'' যোগ করেছেন ‍'‍'আইপিএলে সব সংষ্করণ মিলিয়ে আমিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। একজন ক্রিকেটার এর চেয়ে বেশি আর কী পারফরম্যান্স করতে পারে। সেরা লিগের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স করেছি। যেখানে প্রতিযোগিতা প্রবল।'' আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ১৫০ ম্যাচ খেলে অমিত মিশ্রের সংগ্রহ ১৬০ উইকেট। তার আগে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার পেসার লাসিথ মালিঙ্গা।

তাঁর শিকার ১৭০ উইকেট। ২০১৬ সালে ভারতের হয়ে শেষ একদিনের সিরিজে তিনি খেলেছেন। সেখানে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৫ উইকেট পেয়ে সিরিজের সেরাও হয়েছিলেন অমিত। কিন্তু তার পরে দু'টো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে দল থেকে বাদ যান। অমিত মিশ্র যে প্রসঙ্গে উঠলে বলে দিয়েছেন, ‍'‍'আমার কাজ হল মাঠে খেলতে নেমে সেরাটা দেওয়া। বছরের পর বছর ধরে সেটাই করে চলেছি। তাই কে কী বলছে আমার সম্পর্কে, তা মনে কোনও প্রভাব ফেলে না।

খেলার আনন্দেই খেলে চলেছি। আগামী বছরেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলব, যদি শরীর সুস্থ থাকে।'' বীরেন্দ্র সহবাগের অধিনায়কত্বে দিল্লির দলের হয়ে আইপিএলে খেলেছেন। এ বার ঋষভ পন্থের নেতৃত্বেও দিল্লির হয়ে খেলবেন। ২০০৮ সালে সহবাগের নেতৃত্বে যখন আইপিএলে অভিষেক হয় অমিতের, তখন ঋষভ পন্থ তাঁর উত্তরাখণ্ডের বাড়িতে ক্রিকেটের হাতেখড়ি দিচ্ছেন। যা নিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের এই স্পিনার বলেছেন, ‍'‍'বীরেন্দ্র সহবাগের সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক।

তেমনই সম্পর্কের গভীরতা রয়েছে ঋষভ পন্থের সঙ্গে। ও অধিনায়ক হওয়ায় ভাল লেগেছে। গত চার-পাঁচ মাসে নিজের খেলার ধরন, ফিটনেস সব বদলে ফেলেছে ও। যার প্রতিফলন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পন্থের খেলায় দেখা গিয়েছে।'' গত বছর আইপিএলে খেলার সময় হাত ভেঙেছিল অমিত মিশ্রের। কিন্তু সেই চোট সারিয়ে আপাতত দিল্লি ক্যাপিটালস দলের সঙ্গে সুস্থ শরীর আইপিএলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

বলেছেন, ‍'‍'গত বছর চোটের কারণে ফাইনাল খেলা হয়নি। অথচ এই ফাইনালে খেলার জন্যই বছরের পর বছর অপেক্ষা করেছি। সতীর্থেরা বার্তা পাঠিয়েছিল, ফাইনালে আমার অভাব বোধ করেছে ওরা। সেটা শুনে ভাল লেগেছিল। এই বছরে মাঠে নেমে দুরন্ত পারফরম্যান্স করাই লক্ষ্য।'' তাঁর মতে, লেগস্পিনারদের খেলার কঠিন সময়ে অধিনায়কের সহায়তা খুব জরুরি।

বলেছেন, ‍'‍'যে কোনও লেগস্পিনারের পাশে দরকার একজন ভাল অধিনায়ককে। কারণ, যখন ব্যাটসম্যানেদের আক্রমণের মুখে ওই লেগস্পিনার পড়ে, তখন সংশ্লিষ্ট লেগস্পিনারের পাশে অধিনায়কের দাঁড়ানো দরকার। এতে ওই বোলার আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়। কারণ, লেগস্পিনারের মানসিক পরিস্থিতি ভাল বুঝতে পারে একজন অধিনায়কই।''