শরীরের সুস্থতায় ফলসা ফলের ভূমিকা

বিভিন্ন রোগে প্রায় সব মানুষ ভুগে থাকে। আজকের দিনে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যার শরীরে কোনো রোগ নেই।তাই চিকিৎসকরা ফল খাওয়া এর পরামর্শ দিয়ে থাকে।ফলের মধ্যে অন্যতম একটি ফল হল ফলসা।এই ফলটির আকৃতি মূলত মটরের দানার মতো।এটি শরীরের অনেক রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।এই ফলটির ব্যাপারে অনেক মানুষ কমবেশি জানে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই ফলটির উপকারিতা সম্পর্কে।
১.আর্থারাইটিস বা বাতের সমস্যা দূর করে- বাতের ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ফলসা ফল খেয়ে থাকেন। এই ফলে থাকে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ, যা বাতের ব্যথার কারণে পায়ের গিঁট ফুলে যাওয়া ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
২.ক্যান্সার রোধে- ফলসা ফলে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। এই উপাদানটি শরীরে অ্যান্টি ক্যান্সার এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। তাই বলা যেতেই পারে যে, ফলসা খেলে তা ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী অসুখের হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
৩.ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগ দূরীকরণে- ফলসা ফলের রসে থাকে লো-গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স। এটি শরীরে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আসলে লো-গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স যুক্ত খাবারে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরে খুব ধীরে ধীরে পরিপাক ঘটায়। ফলে শরীরের গ্লুকোজ স্তর একেবারে বেড়ে যায় না।
৪.আ্যজমা নিয়ন্ত্রনে- অ্যাজমা কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাস সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ফলসা ফলের রস খুবই লাভজনক। ফলসা ফলে থাকা ফাইটোকেমিক্যালস উপাদান শ্বাস সম্বন্ধীয় সমস্যার উপশম ঘটায়। বিশেষ করে ফলসা ফলের রস যদি গরম করে তাতে আদা এবং গোলমরিচ মিশিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে তা শ্বাস সম্বন্ধীয় সমস্যা দূর করার কাজে সাহায্য করে।
৫.হাড় মজবুত করতে- ফলসা ফলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। তাই এই ফল হাড়ের মজবুতির জন্য খুব উপকারী। এটি হাড়কে মজবুত করার পাশাপাশি হাড়ের ঘনত্ব অর্থাৎ বোন ডেন্সিটি বাড়াতেও ভীষণ সাহায্য করে।
৬.ডায়ারিয়া উপশমে- বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডায়ারিয়া হলে ফলসা ফল খাওয়া ভীষণ উপকারী। ফলসা গাছের ছাল ডায়ারিয়া রুখতে কাজে লাগে। ফলসা ফলে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়, যা ডায়ারিয়া থেকে রেহাই দেয়।