কর্মী ধরে রাখতে জীবনসঙ্গী খুঁজে দিচ্ছে কোম্পানি! বিয়ে করলে বাড়ছে বেতনও

বাড়ি ছেড়ে দূরের শহরে চাকরি অনেকেরই না পসন্দ। আরও অনীহা ছোট শহরের কোনও কোম্পানিতে যোগ দেওয়ায়। নেহাত বাধ্য হয়ে যোগ দিলেও দ্রুত নতুন কাজ খুঁজে পগার পার হন অধিকাংশ পেশাদার। এই সমস্যাতে মাদুরাইয়ের (Madurai) এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী ধরে রাখা দায় হচ্ছিল। অভিনব উপায়ে সেই সমস্যার সমাধান উদ্যোগী হয়েছে সংস্থাটি।
কর্তৃপক্ষ অবিবাহিত কর্মীদের ‘ঘটকালি’ শুরু করেছে। এইসঙ্গে কর্মীটি বিয়ে করলে বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁর বেতনও। বেতনের ব্যাপারটা অবশ্যি পরিস্কার, কিন্তু কর্মীর জন্য পাত্রপাত্রীও দেখছে কোম্পানি? আইটি কোম্পানিটির নাম শ্রী মুকামবিকা ইনফোসলিউশনস (Sri Mookambika Infosolutions)।
২০০৩ সালে তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) শিবকাসিতে পথ চলা শুরু। কিন্তু একাধিক কারণে ২০১০ সালে মাদুরাইতে উঠে আসে কোম্পানিটি। এর পরেই অস্বস্তিতে পড়ে শ্রী মুকামবিকা। সংস্থায় কর্মী ধরে রাখা দায় হচ্ছিল। মূল কারণ মাদুরাইয়ের মতো ছোট শহরে থাকতে চান না কর্মীরা। এমনকী কর্মী সঙ্কোচনে কোম্পানির লভ্যংশ কমতে থাকে হুড়মুড় করে।
একটা সময় তুলনায় অদক্ষ কর্মীদের শিখিয়ে পড়িয়ে নিয়ে কাজ চালাতে হয়। তখন কর্মী সংখ্যা ছিল দুশোরও কম। যা প্রয়োজনের তুলনায় ছিল অতি অল্প। এই সময়েই দক্ষ কর্মী ধরে রাখতে ও নতুন ভাল পেশাদার নিয়োগ করতে একাধিক উদ্যোগ নেয় কোম্পানিটি। যার অন্যতম ছিল বছর বছর বড়সড় অংকের বেতন বাড়ানো।
এমনকী প্রতি ছয় মাসেও শ্রী মুকামবিকা ইনফোসলিউশনস কর্মীদের বেতন বাড়িয়েছে। আর সব শেষে কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে তা কার্যত নজিরবিহীন। বাড়ি থেকে দূরের ছোট শহরে এসে একলা বোধ করা কর্মীদের বিয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছে সংস্থাটি। অবশ্যই কর্মীটির এই বিষয়ে ইচ্ছে থাকলে তবেই। এক্ষেত্রে পাত্রপাত্রী দেখারও ব্যবস্থা করে দিচ্ছে কোম্পানিটি।
এখানেই শেষ না, কর্মীটি বিয়ে করলে তাঁর বেতন বাড়ানো হচ্ছে। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, এত কাণ্ডে কি কাজ হচ্ছে? হচ্ছে। সংস্থায় কর্মী সংখ্যা এখন ৭৫০। এদের ৪০ শতাংশ কর্মী শ্রী মুকামবিকা ইনফোসলিউশনে কাজ করছেন পাঁচ বছর বা তার বেশি সময় ধরে। কোম্পানির সিইও এমপি সলভাগণেশ বলেন, “কর্মীদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক দাদা-ভাইয়ের। অনেকেই গ্রাম থেকে আসা যুবক। উপযুক্ত জীবনসঙ্গী খুঁজে দিতে কোম্পানি সাহায্য করছে। বিয়েতে দারুণ হইচই করছি সকলে মিলে।”