অফিস বা বাড়ি নয়, কর্মীদের জন্য বিকল্প 'তৃতীয় স্থান'-এর ভাবনা TATA-র

অফিস বা বাড়ি নয়, কর্মীদের জন্য বিকল্প 'তৃতীয় স্থান'-এর ভাবনা TATA-র

গত প্রায় দেড় বছর ধরে গোটা দেশের সার্বিক পরিস্থিতিটাই বদলে গিয়েছে । করোনা অতিমারীতে গোটা বিশ্বেই বদলে গিয়েছে কাজের ধরণ । বেশিরভাগ কোম্পানিতেই এখন কাজ হচ্ছে 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' (Work From Home) কনসেপ্টে । অনেক অফিস খুললেও সেখানে সমস্ত কর্মচারীরা একসঙ্গে যোগ দিতে পারছেন না । শিফ্টে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের । টাটা (Tata Sons Pvt )-র ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি । পরিস্থিতি আবার কবে স্বাভাবিক হবে সে প্রশ্নের উত্তর কারও কাছে নেই ।

এমতাবস্থায় কর্মচারীরা আবার অফিসে ফিরতে চাইলে, তাঁদের জন্য বাড়ি বা অফিস নয়, অন্য একটি বিকল্প 'তৃতীয় স্থান'-এর পরিকল্পনার উত্থাপন করলেন টাটা সন্স প্রাইভেটের চেয়ারম্যান (Tata Sons Pvt Chairman) নটরাজন চন্দ্রশেখরণ (Natarajan Chandrasekaran) । গতকাল, মঙ্গলবার কাতার ইকনোমিক ফোরামে এই বিষয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, অতিমারীর পরে যদি কেউ অফিসে আসতে চান তাঁর জন্য অফিস বা বাড়ি ছাড়া অন্য একটি বিকল্প স্থানের পরিকল্পনা করতে হবে ।

সেটা অনেকটা স্যাটেলাইট অফিসের মতোও হতে পারে । যদি হাইব্রিড মডেলে কাজ করতে হয় তা হলে এই বিকল্প স্থানের কথা ভাবা জরুরি । প্রসঙ্গত, লকডাউন শুরুর সময় থেকে টাটা 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' মডেলে কাজ করছে । তাঁদের ৫ লাখ কর্মচারী বাড়িতে বসে কাজ করছেন । এতে তাঁদের কাজে বা কাজের মানের কোনওরকম হেরফের হয়নি ।

ফলে আপাতত ২০২৫ সাল পর্যন্ত এ ভাবেই কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাটা কনসালটেন্সি। এই মুহূর্তে মাত্র এক চতুর্থাংশ অফিসে আসছেন, বাকিরা বাড়ি থেকেই কাজ করছেন । পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওযার পর যদি কেউ বাড়ি থেকে কাজ করতে না চান, তাঁদের জন্য তৃতীয় স্থানের চিন্তাভাবনা শুরু করল টাটা ।

শুধু তাই নয়, নটরাজন চন্দ্রশেখরণ কাজের ক্ষেত্রে মহিলাদের আরও বেশি মাত্রায় সংযুক্তিকরণের পক্ষেও জোরাল মতামত পেশ করেছেন । এই মুহূর্তে টাটা-তে মাত্র ২৩ শতাংশ মহিলা কর্মী রয়েছেন । পারিবারিক ও সামাজিক বিভিন্ন কারণে মেয়েরা কাজের ক্ষেত্রে এখনও পিছিয়ে আছেন বলে উল্ল্যেখ করেন তিনি । কিন্তু সমাজের সামগ্রিক উন্নতির জন্য মেয়েদের উপার্জনক্ষম হওয়া আবশ্যিক ।