ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে দূর করে ফেলুন দাঁতের শিরশিরানি

ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে দূর করে ফেলুন দাঁতের শিরশিরানি

মাঝেমধ্যে ঠান্ডা, গরম ও টক খাবার দাঁতের শিরশির ভাব তৈরি করতে পারে। যাঁদের এই সমস্যা রয়েছে, তারাই জানেন এর যন্ত্রণা কেমন। এ থেকে অনেক সময় ব্যথাও হয়। এটি দাঁত কম মজবুত হওয়ার লক্ষণ। অনেকে এ থেকে রেহাই পেতে ওষুধ সেবন করেন বা বিভিন্ন টুথপেস্ট ব্যবহার করেন। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে ঘরে বসেই এই শিরশির ভাব দূর করা যায়। তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই উপায় গুলো সম্পর্কে।

১.রসুন জল দিয়ে কুলকুচি- একটি রসুন পেস্ট করতে হবে। এর মধ্যে দুই থেকে তিন ফোটা জল দিতে হবে এবং সামান্য খাবার নুন দিতে হবে। আক্রান্ত দাঁতে সরাসরি পেস্টটি লাগাতে হবে। কয়েক মিনিট এভাবে রাখতে হবে। এরপর নুন জল দিয়ে মুখ কুলকুচি করতে হবে। দিনে দুবার কাজটি করতে হবে।

২.মধু ও নুন- এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ মধু ও সামান্য নুন মেশাতে হবে। সকালে মুখ ধোওয়ার পর এই জল দিয়ে কুলকুচি করতে হবে। জল মুখে রেখে নাড়াচাড়া করে ফেলে দিতে হবে।

৩.নুন জল- মধু ছাড়া স্রেফ নুন দিয়েও কাজ সারা যায়। দাঁতের জন্য নুনজল খুবই উপকারী। দুবেলা নুন জলে কুলকুচি করতে হবে। এতে দাঁতের ফাঁকের খাবার ধুয়ে যায় তো বটেই, সঙ্গে দাঁতের ছোটখাটো সমস্যা, দাগ এ সবও অনেকটা ফিকে হয়।

৪.ক্যাপসাইসিন জেল-  কেবল লঙ্কায় কতটা ঝাল থাকবে তাই নির্ধারণ করে না ক্যাপসাইসিন। বরং প্রদাহ ও ছোটখাটো সংক্রমণ কাটাতেও এটি কার্যকর। ক্যাপসাইসিন রয়েছে এমন মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। যাঁদের ঝালে অসুবিধা আছে তাঁরা ব্যবহার করতে পারেন গ্রিন টি। চা তৈরি করে ঠান্ডা করে সেই চা দিয়েই কুলকুচি করতে হবে।

৫.কেমিক্যাল যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে- কেমিক্যাল যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে কারণ কেমিক্যালযুক্ত যুক্ত খাবারের জন্য সেনসিটিভিটি হয়ে থাকে।

৬.লবঙ্গ তেল-  লবঙ্গ তেল দাঁতের গোড়ায় লাগিয়ে রাখলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। ইউজেনল থাকায় এটি দাঁতের ব্যথা উপশম করে। গ্রিন টি-তে লবঙ্গ ফেলে সেই মিশ্রণ দিয়েও কুলকুচি করা যেতে পারে।