নরেন্দ্র মোদির সবচেয়ে বড় গুণ আর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা কী! ফাঁস করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর

নরেন্দ্র মোদির সবচেয়ে বড় গুণ আর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা কী! ফাঁস করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর

হঠাত্‍ই রাহুল গান্ধির (Rahul Gandhi) সঙ্গে দেখা করে সারা দেশের চর্চায় প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। কেউ মনে করছেন আবার গান্ধীদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারেন প্রশান্ত। কেউ আবার ফুত্‍কারে সেই তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, বিরোধী ঐক্যের সেতুবন্ধনের কাজে নেমেছেন তিনি। শেষমেষ ঠিক কী ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন তিনি তা সময়ই বলবে তবে এটুকু বলা যায়, দুটি কাজেই তিনি সফল হতে পারেন, এটা নির্দ্বিধায় মেনে নিতে হবে।

কারণ শাসক দলের প্রধান মাথা, দেশের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সবচেয়ে বড় শক্তি এবং দুর্বলতা, দুইই হাতের তালুর মতো চেনেন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor on Narendra Modi)। মোদির ডাকেই বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে প্রশান্ত কিশোর কাজ করেন ২০১৪ সাল পর্যন্ত। অর্থাত্‍ বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর্যন্ত। ২০১৫ সালে বিহার বিধানসভার আগে তিনি নীতিশ কুমারের দল জেডিইউ-তে যোগ দেন।

বিজেপির সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর প্রশান্ত কিশোর একটি টেলিভিশন ইন্টারভিউতে করণ থাপারকে নরেন্দ্র মোদির দুর্বলতা এবং শক্তি- দুটি দিক সম্পর্কেই বলেছিলেন। ওই সাক্ষাত্‍কারে কিশোর বলেন, "নরেন্দ্র মোদির শক্তি অনেক। যে কেউ একটা বই লিখে ফেলতে পারবে। তবে আমাকে যদি এক লাইনে বলতে হয় আমি বলব, তাঁর অনন্য অভিজ্ঞতাই তাঁর শক্তি, যা সমসাময়িক ভারতবর্ষের দুর্লভ।" ক্রমে তিনি আরো যোগ করেন, "নরেন্দ্র মোদি পনেরো বছর আরএসএসের প্রচারক হয়ে কাজ করেছেন।

নিচুতলার মানুষের মন বুঝতে তাঁর জুড়ি নেই। এরপর সরাসরি রাজনীতিতে এসে তিনি পনেরো বছর সুযোগ পেয়েছেন রাজনীতির গতি-প্রকৃতি বোঝার জন্য। আবার মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যে ১৫ বছর কাটিয়েছেন, তাও একটি অনন্য অভিজ্ঞতা। খুব কম লোকই এই সুযোগ পায়।" যথারীতি এর পরের প্রশ্নটা এসেছিল, মোদির দুর্বলতার জায়গাটা যদি বলেন। বিনয়ী প্রশান্ত কিশোর বলেন, "আমি এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য নিতান্তই যুবক। আমাকে তবু বারবার এই প্রশ্ন করা হয়েছে। আমি একটা কথাই বলতে পারি, নেতা হিসেবে মোদি আরও উদার হতে পারে।"

কিশোরের ব্যাখ্যা, "উদার বলতে আমি বলতে চাইছি, ভালো, ক্ষমাশীল হওয়া। বা ধরুন যে কোন খারাপ জিনিস দ্রুত ভুলে যাওয়ার ক্ষমতা- এই গুণগুলির কথা বলছি।" প্রশান্ত কিশোর আরো বলেন, নরেন্দ্র মোদি আপনার সাথে কাজ করলে আপনি সব সময় বুঝতে পারবেন তিনি আপনার আশেপাশেই আছেন। কিশোরের চোখে প্রধানমন্ত্রীর সবথেকে বড় গুণ- তিনি একজন খুব ভালো শ্রোতা।