জামাইয়ের সঙ্গে পালালেন শাশুড়ি! বিচার চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ মেয়ে

জামাইয়ের সঙ্গে পালালেন শাশুড়ি! বিচার চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ মেয়ে

পরকীয়ার জের। শাশুড়িকে নিয়ে পালালেন যুবক। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য হাওড়ার (Howrah) লিলুয়ায়। জানা গিয়েছে, পলাতক যুবকের নাম কৃষ্ণ গোপাল দাস। স্ত্রীকে ফেলে রেখে শাশুড়ি শেফালি দাসের সঙ্গে পালিয়েছেন তিনি। লিলুয়া থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। লিলুয়া থানা এলাকার জগদীশপুরের বিশ্বাসপাড়ার বাসিন্দা বাবলা দাস। পেশায় ভ্যানচালক।

বাবলা দাসের মেয়ে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বিয়ে হয় কৃষ্ণের। শোনা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন যুবক। তার জেরেই শাশুড়ি শেফালি দাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গত শনিবার শাশুড়ির সঙ্গে পালিয়ে যান কৃষ্ণ। মায়ের সঙ্গে স্বামীর পরকীয়ার কথা জানতে পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রিয়াঙ্কা।

পরে পরিস্থিতি একটু সামলে উঠে বাবার সঙ্গে গিয়ে লিলুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে খবর। এদিকে শাশুড়ি-জামাইয়ের এই 'কীর্তি' জানাজানি হওয়ার পরই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

২০১৭ সালে কৃষ্ণ ও প্রিয়াঙ্কার বিয়ে হয়। এলাকাবাসীদের একাংশের মতে, তার কিছুদিন পর থেকেই শাশুড়ির সঙ্গে কৃষ্ণের প্রেমের সূত্রপাত। প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ, ছোট ছোট কারণে তাঁর উপরে অত্যাচার চালাতেন কৃষ্ণ। এমনকী তাঁর গায়ে হাতও তোলা হত। উল্লেখ্য, হাওড়ার বালিতেও ( Bally ) পরকীয়ার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বালির আনন্দনগরের অনন্যা কর্মকার ও রিয়া কর্মকার নামে দুই গৃহবধূ গত পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দুই রাজমিস্ত্রীর সঙ্গে গত ছ'মাস ধরে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন দু'জন। তাঁদের সঙ্গেই পালিয়েছেন। ঠিক কোথায় তাঁরা রয়েছেন তার খোঁজ করছে পুলিশ। বিস্তারিত জানতে চলছে তদন্ত।