আসামের মানস জাতীয় উদ্যান সম্পর্কে জেনে নিন

মানস জাতীয় উদ্যান আসামের এক অন্যতমমানস জাতীয় উদ্যান আসামের এক অন্যতম রাষ্ট্রীয় উদ্যান, ইউনেস্কোর দ্বারা স্বীকৃত প্রাকৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান, ব্যাঘ্র প্রকল্প সংরক্ষিত বনাঞ্চল , হাতি সংরক্ষিত বনাঞ্চল, তথা বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ৷ এটি গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১৭৬ কিলোমিটার নিকটে বরপেটা জেলার উত্তরাঞ্চলে, ভুটান পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত।
উত্তরে মানস নদী তথা ভুটান রাজ্য, দক্ষিণে বাঁহবাড়ি, পালসিগুরি এবং কাটাঝাড় গাঁও, পশ্চিমে সোণকোষ নদী থেকে পূর্বে ধনশিরি নদী পর্যন্ত এই রাষ্ট্রীয় উদ্যানটি বিস্তৃত।। এই জাতীয় উদ্যান ভুটানের রয়েল মানস রাষ্ট্রীয় উদ্যানের সাথে সংলগ্ন হয়ে রয়েছে। মানস জাতীয় উদ্যান অধোক্রান্তীয় মণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত এবং এর জলবায়ু ক্রান্তীয় ধরনের।
এই জাতীয় উদ্যান অনেক বিপন্ন তথা লুপ্ত-প্রায় বন্যপ্রাণী যেমন, সোনালী বানরের আদি বাসস্থান হিসাবে খ্যাত। বুনো মহিষের অন্যতম প্রধান আশ্রয়স্থল হিসাবেও মানস জাতীয় উদ্যানের খ্যাতি আছে।
ব্রহ্মপুত্র নদের উপনদী মানস এই উদ্যানের মাঝখানে দিয়ে বয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যানটির নাম মানস রাষ্ট্রীয় উদ্যান হয়েছে।পূর্বে মানস উদ্যানকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে গন্য করা হত। ১৯২৮ সনের ১ অক্টোবরে বন্যপ্রানী অভয়ারন্যের মর্যদা দেওয়া হয়। এই বনাঞ্চলটি গৌরিপুরের রাজা শিকার স্থল হিসেবেও ব্যবহার করিতেন। ১৯৭৩ সনে এখানে ব্যাঘ্র প্রকল্প আরম্ভ করা হয়। ১৯৮৫ সনে ইউনেসকো মানস রাষ্ট্রীয় উদ্যানকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করে ও ১৯৯৫ সনে রাষ্ট্রীয় উদ্যানের মর্যদা প্রদান করা হয়।