টক দইয়ে মুশকিল আসান, ত্বকের একগুচ্ছ সমস্যা মেটাতে বেছে নিন ঝটপট

টক দইয়ে মুশকিল আসান, ত্বকের একগুচ্ছ সমস্যা মেটাতে বেছে নিন ঝটপট

  ত্বকের নিয়মিত পরিচর্যা করা শিকেয় উঠেছে অনেকের। রান্নাঘরের এটা ওটা সরঞ্জাম দিয়ে ফেস প্যাক বানিয়ে নেওয়ার নানান প্রেসক্রিপশন থাকলেও সংসার আর অফিস সামলে অত রূপটান কতজনই বা ব্যবহার করে উঠতে পারেন? তার চেয়ে ভালো হয় না, যদি একটাই উপাদান মেখে ত্বকের সম্পূর্ণ যত্ন নেওয়া যায়? সেরকমই একটি উপাদান হল টক দই। লকডাউনের বাজারে আর সব কিছু বন্ধ থাকলেও দইয়ের অভাব হয়নি কখনও। সেই দইই এবার মেখে নিন মুখে, একগুচ্ছ ত্বকের সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। 

 ব্রণ উপশমে এক টেবিলচামচ টক দই নিয়ে তাতে তুলো ডুবিয়ে ভিজিয়ে নিন। ব্রণর উপরে লাগিয়ে রাখুন। রাতে লাগালে সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলবেন। দিনে লাগালে ঘণ্টা দুয়েক লাগিয়ে রাখুন, তারপর ধুয়ে নিন। দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্রণ চটপট শুকিয়ে দেয়।

 ডার্ক সার্কলের সমস্যায় লকডাউনের টেনশনে চোখের কোলে কালি? টক দইয়ে তুলো ডুবিয়ে চোখের কোলে আলতো করে লাগিয়ে নিন। দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দই চোখের কোলের ফোলাভাব কমায়, ল্যাকটিক অ্যাসিড দূর করে কালো ছোপ।

ত্বকের সংক্রমণে গায়ে লাল র‍্যাশ বেরিয়েছে? বা অন্য কোনও সংক্রমণ? বেছে নিন টক দই। র‍্যাশের উপরে ক্রিম লাগানোর মতো করে দইয়ের প্রলেপ দিয়ে ব্যান্ডেজ জড়িয়ে রাখুন। যতদিন সংক্রমণ পুরোপুরি না কমছে, দিনে দু'বার এভাবে দই লাগান। দইয়ের প্রোবায়োটিকস যে কোনও সংক্রমণ কমাতে পারে।

 দাগছোপ কমাতে পুরোনো ব্রণর দাগ, মশার কামড়ের দাগ, অন্য যে কোনও দাগছোপ, সব কিছু কমাতেই আপনার ভরসা টক দই। দইয়ের সঙ্গে অল্প পাতিলেবুর রস মিশিয়ে দাগের উপর লাগান, দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিন নিয়মিত লাগালেই দেখবেন দাগ হালকা হতে শুরু করেছে।

 রোমছিদ্র সংকুচিত করতে পরিমাণমতো টক দই নিন, মুখে লাগিয়ে 15 মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। হাতে সময় থাকলে বা ইচ্ছে হলে দইয়ের সঙ্গে একটা ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে নিতে পারেন, তাতে কার্যকারিতা আরও বাড়বে।

 শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় মুখ খুব ড্রাই লাগছে? খানিকটা দই ক্রিমের মতো করে মুখে মেখে নিন, দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দইয়ের ভরপুর ময়শ্চার ত্বক আর্দ্র আর কোমল করে তুলবে। বাড়তি তরতাজাভাব পেতে দইয়ে খানিকটা গোলাপজল মিশিয়ে নিতে পারেন।