ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের খোসা কিভাবে ব্যবহার করবেন জেনে নিন

ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের খোসা কিভাবে ব্যবহার করবেন জেনে নিন

দাগহীন এবং উজ্জ্বল ত্বকের জন্য তাজা ফল খাওয়া খুব ভাল বলে আমরা জানি। বিভিন্ন ফলের রসও ফেস প্যাকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি কি জানেন ফলের পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের খোসাও আমাদের স্কিনের জন্য খুব উপকারি? ফলের খোসা ব্যবহার করে ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখা যায়। ফল খাওয়ার পর খোসা দিয়ে ত্বকের যত্ন নেয়া যায়। এতে প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক ভালো থাকে। ত্বকের যত্নে খরচ কমে।তাহলে জেনে নেওয়া কোন ফলের খোসা ত্বকের কি কি উপকার করে।

১.লেবুর খোসা- দুই টেবিল চামচ লেবুর খোসা গুঁড়া, এক টেবিল চামচ ব্রাউন সুগার, এক টেবিল চামচ মধু এবং এক টেবিল চামচ বাদাম তেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিতে হবে। এরপর অল্প একটু প্যাক নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করতে হবে। তারপর বাকি প্যাকটুকু ত্বকে লাগিয়ে নিতে হবে। ১০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ত্বকের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ এবং জ্বালাপোড়া কমাতে লেবুর খোসা বেশ কার্যকর।

২.পেঁপের খোসা- একটি পরিষ্কার পাকা পেঁপের খোসা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেস্ট করে নিতে হবে। পাকা পেঁপে পেস্ট, দুই টেবিল চামচ মধু ও এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। মুখ ও ঘাড়ে ভালো করে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। ১৫ মিনিট পর কুসুম কুসুম গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে ত্বকের কালো দাগ দূর করে থাকে।

৩.কলার খোসা- কলার খোসা ত্বকের যত্নে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়। কলার খোসায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও প্রোটিন রয়েছে। কলার ভেতরের নরম অংশটুকু ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া কলার খোসা রোদে শুকিয়ে নিয়ে গুঁড়া করে নিতে হবে। কলার খোসার গুঁড়া, টক দই দিয়ে প্যাক তৈরি করে সেটি ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করতে হবে।

৪.ডালিমের খোসা- দুই টেবিল চামচ ডালিমের খোসার গুঁড়া, এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এই প্যাক মুখ ও ঘাড়ে ভালো করে লাগাতে হবে। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে কুসুম কসুম গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ডালিমের খোসায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি ত্বকের বলিরেখা দূর করতে কার্যকর।

৫.আলুর খোসা- আলুর খোসা চোখের নিচের কালি দূর করে। অনেকের আবার চোখের নিচে ফোলাভাব তৈরি হয়। সেটাও আলুর খোসার রসের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। আলুর খোসা কুচি করে চোখের ওপরে ব্যবহার করতে হবে।

৬.নাশপাতির খোসা- এতে রয়েছে ফাইবার, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, এটি সরাসরি মুখে না লাগিয়ে এক বাটি জলেতে কিছুক্ষণ চুবিয়ে রেখে ওই জলটা কিছুক্ষণ গরম করে নিতে হবে। তারপর সেই জল সারা মুখে লাগাতে হবে। মাসে মাত্র একবার এভাবে নাশপাতির খোসা মুখে লাগালেই দেখা যাবে ত্বক কেমন ফর্সা হয়ে ওঠে।