গাজর আদা এর জুস খাওয়া এর কার্যকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

গাজর আদা এর জুস খাওয়া এর কার্যকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

ফল এবং সবজি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী জানা সত্ত্বেও আমরা এই খাবারগুলো নিয়মিত খাই না। University of Wisconsin School of Medicine এক সমীক্ষায় দেখেছেন যে, আমেরিকায় ১০ জনের মধ্যে ৭ জন মানুষ নিয়মিত ফল এবং সবজি গ্রহণ করেন না।আবার জলের চাহিদা পূরণের জন্য জলের পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর ক্লোড ড্রিঙ্কস পান করি। ক্লোড ড্রিঙ্কসের পরিবর্তে আদা গাজরের জুস খেতে পারেন। প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, সমৃদ্ধ এই পানীয়টির রয়েছে নানা স্বাস্থ্য উপকার। আবার সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ত্বক সবার কাম্য। আর এ জন্য প্রয়োজন ভারসাম্যপূর্ণ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। এমনই একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হলো, গাজর-আদার জুস। তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই গাজর আদা এর জ্যুসের উপকারিতা সম্পর্কে।

১.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে- এ স্বাস্থ্যকর জুসটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। বাড়ন্ত শিশুদের জন্য এটি খুবই চমৎকার একটি পানীয়। গাজরের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ ও সি ইমিউন কোষ বাড়ায়। ভিটামিন শ্বেত রক্ত কণিকা উৎপাদনে সহায়ক। এছাড়াও এটি শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন উপাদান বের করে দেয়।

২.ত্বকের জন্য উপকারী- আদা ও গাজরের মধ্যে এমন অনেক পুষ্টি রয়েছে যেগুলো ত্বকের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। ভিটামিন এ ও বিভিন্ন অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকার কারণে গাজর ত্বকের জন্য উপকারী। এটি ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং ব্রণ, পিগমেন্টেশন প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া গাজরের মধ্যে রয়েছে বেটা-ক্যারোটিন। এটিও ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখে।

৩.ক্যান্সার প্রতিরোধ করে- আদা-গাজরের জুসের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ক্যানসার, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটোরি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি প্রোলিফেরেটিভ ও অ্যান্টি ম্যাটাস্টেটিক উপাদান। এগুলো ক্যানসার প্রতিরোধে উপকারী। বিশেষ করে করে ওভারি, কোলোরেক্টাল, ফুসফুস, স্তন, ত্বক, প্রোস্টেট, প্যানক্রিয়াসের ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

৪.হার্ট ভালো রাখে- আদা ও গাজর দুটোই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও পরিষ্কারক উপাদানের জন্য বিখ্যাত। এসব উপাদান হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখে। গাজর হদযন্ত্রের জন্য বেশ উপকারী। গাজর শরীরের বাজে কোলেস্টেরলের সঙ্গে লড়াই করে এবং হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমায়। তাই নিয়মিত আদা গাজরের জুস খাওয়া দরকার।

৫.ডায়াবেটিস কমায়- যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন বা ডায়াবেটিসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন, তাদের জন্য একটি চমৎকার পানীয় হতে পারে এই জুস। আদা রক্তের সুগারের মাত্রা কমায় এবং ইনসুলিন উৎপাদন বাড়ায়। আর গাজরের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ ডায়াবেটিসের কারণে হওয়া চোখের রোগ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি প্রতিরোধে উপকার করে। আর তাই নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে গাজর-আদার জুস।

৬.গলা ব্যাথা,নাক দিয়ে জল পড়া বন্ধ করতে- শীতকালে ঠাণ্ডা লেগে গলায় ব্যাথা,নাক দিয়ে জল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা। তবে এই গাজর আদার জুস এই সমস্যা গুলো দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

৭.দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়- এই জুস চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।এই জুসে রয়েছে ভিটামিন এ যা দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে খুবই উপকারী।তাই যাদের দৃষ্টি শক্তি দূর্বল তারা নিয়মিত গাজর আদা এর জুস খেতে পারেন।