আপনি কী অল্পতেই রেগে যান? জেনে নিন মানুষের ক্রোধের প্রধান কারণগুলি

আপনি কী অল্পতেই রেগে যান? জেনে নিন মানুষের ক্রোধের প্রধান কারণগুলি

মান ও হুঁশ এই দুইয়ের সমন্বয়েই মানুষ। অর্থাৎ মানুষ এমনই এক উন্নত জীব যার ব্যক্তিত্ব তথা মান রয়েছে এবং সমাজে এই ‘মান’ বজায় রাখতে যে সচেতনতা প্রয়োজন তাকেই বলে ‘হুঁশ’ আর দুইয়ের মেলবন্ধনেই প্রকৃত অর্থে মানুষের সৃষ্টি। তাহলে থেকে একটা ব্যাপার পরিষ্কার যে মান ও হুঁশ এই দুই মানদণ্ডের একটিতে যদি টান পড়ে তবে হারিয়ে যায় তার ব্যক্তিত্ব, বিবেক, হিতাহিত জ্ঞান আর তখনই আমরা দেখি যে একজন দীর্ঘদিনের পরিচিত মানুষও চলে যায় অপরিচিতের তালিকায়। আমরা সাধারণ ভাবে মানুষের বিবেকহীন অবিবেচকের মতো ব্যবহারকেই বলি রাগ তথা ক্রোধ ও অভিমান।

এবার দেখা যাক কখন এই ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ মানুষের মধ্যে দেখা যায় -

মূলত লগ্নভাব থেকে মানুষের শরীরের স্বাস্থ্য ও চন্দ্রের অবস্থান অনুযায়ী মনের স্বাস্থ্য বিচার করা হয়। মানুষের মন ত্রিস্তরে গঠিত। সচেতন, অসচেতন, ও অবচেতন। এই গঠনই নির্ধারণ করবে যে একজন মানুষ কী ধরণের মানসিকতার। যদিও প্রতিটি আচরণেরই এক একটি আলাদা বিচার রয়েছে। ধরা যাক কারও লগ্নে তৃতীয়ভাব কোনও ভাবে পীড়িত, সে কিন্তু প্রচণ্ড অধৈর্য চরিত্রে পরিণত হবে।

আবার কারও যদি নবমভাবের সাথে একাদশ ভাবও পীড়িত হয়ে পড়ে, তখন সে ব্যক্তি ভাগ্যের হাতে মার খেতে খেতে রুক্ষ মেজাজের হয়ে পড়ে। প্রথমত দেখা উচিত, যে মানুষটির ছক বিচার করা হচ্ছে সে কোন পরিস্থিতিতে বড় হয়েছে, তার খাদ্যাভ্যাস, রুচিবোধ, শিক্ষা  ইত্যাদি বিষয়। একটা ব্যাপার মনে রাখা উচিত যে স্থান,কাল,পাত্রই নির্ধারণ করে কোনও মানুষের মেজাজ হারানোর কারণকে।

কোনও ক্ষেত্রে দেখা যায় কেউ পরিস্থিতির চাপে মেজাজ হারায়, আবার কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবেই মেজাজ হারিয়ে নিজেকে জাহির করে। এই রাগ কখনও মানুষের অক্ষমতাকে আবার কখনও মানসিক বিকারকে প্রকাশ করে। এই দুই সমস্যার একই সমাধান হতে পারে না। তাই এইসব ভেদাভেদ জ্ঞানের জন্য চাই বাস্তববাদী মন। একজন আধুনিক মনস্ক জ্যোতিষী কিন্তু অনায়াসেই এই দুই সমস্যার ভেদাভেদ করতে পারেন। পরিশেষে আমাদের একটা কথা মাথায় রাখতে হবে রুক্ষ মেজাজের মোক্ষম দাওয়াই কিন্তু ভালবাসা।