মুখে ঘাম বের হওয়া বন্ধ করবেন কিভাবে জেনে রাখুন

মুখে ঘাম বের হওয়া বন্ধ করবেন কিভাবে জেনে রাখুন

কারও কারও মাথা-মুখ অতিরিক্ত ঘামে। চুলের গোড়া দিয়ে টপ টপ করে ঘাম ঝরে। এ নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতেও পড়েন তাঁরা। বেশি ঘামাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় হাইপারহাইড্রোসিস বলে। আর মুখ-মাথা বেশি ঘামাকে বলে ক্রেনিও ফেসিয়াল হাইপারহাইড্রোসিস। অনেকের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বংশানুক্রমিক। মাথার ত্বক ও মুখে ঘর্মগ্রন্থির সংখ্যা বেশি। শরীরের তুলনায় মুখে ঘাম বেশি হলে বার বার ঘাম মোছা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি এর কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই উপায় গুলো সম্পর্কে।

১.বরফের টুকরো- বরফের টুকরো পরিষ্কার একটা কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ নিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই কাপড় বেঁধে নিয়ে মুখের উপর কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। এমনটা করলে ত্বকের ছিদ্রগুলি বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে ঘাম আর হবে না।

২.ঠাণ্ডা জল- মুখে ঠান্ডা জল ব্যবহার করতে হবে। ঠান্ডা জল লোমকূপের ছিদ্রগুলো বন্ধ করে দেবে। যা অতিরিক্ত ঘাম হওয়া রোধ করবে। যখনই মুখে ঘাম হবে, তখন ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। বিশেষ করে গরমকালে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। চাইলে বরফ কুচি মেশানো জল দিয়ে মুখ ধুতে পারেন।

৩.শসা- শসার রস শসা কুচি করে রস বের করে নিতে হবে। এটি ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। সারারাত এভাবে রাখতে হবে। সকালে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। শসার রস ঘাম হওয়ার প্রবণতা হ্রাস করে।  এরসাথে ত্বকের কালো দাগ দূর করে থাকে।

৪.পাউডার- পাউডার  মুখের অতিরিক্ত ঘাম শুষে নেয়। হাতের তালুতে কিছু পরিমাণ পাউডার নিয়ে সেটি ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। ট্যালকম পাউডার ব্যাগে রাখতে হবে। যখন ত্বক অতিরিক্ত ঘেমে যাবে, তখন পাউডার ব্যবহার করতে হবে। 

৫.আ্যপেল সাইডার ভিনিগার- অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারে অ্যালকালাইন উপাদান রয়েছে। এটি ঘাম নিয়ন্ত্রণে জাদুর মতো কাজ করে। অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার এবং জল মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। সপ্তাহে একবার এটি ব্যবহার করতে হবে।

৬.অয়েল বেইজড প্রসাধনী এড়িয়ে চলতে হবে- যে মেকআপ সামগ্রীগুলোতে অয়েল থাকে সেগুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ওয়াটার বেইজড মেকআপ সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণে এমনই মুখ তেলতেলে হয়ে থাকে। তার উপরে যদি তৈলাক্ত কোনও ক্রিম মুখ লাগানো হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।