আপনার শিশু অবাধ্য হলে এই উপায় গুলো মেনে চলুন

আপনার শিশু অবাধ্য হলে এই উপায় গুলো মেনে চলুন

সন্তান অবাধ্য— এই অভিযোগ নেই এমন অভিভাবক খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। এই অবাধ্য বাচ্চাদের দৌরাত্ম্যি নিয়ে কম অভিযোগ শুনতে হয় না। স্কুল-প্রাইভেট টিউশন, আঁকার ক্লাস-সব জায়গায় ওই এক রিপোর্ট।কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন, কেন কথা শোনে না বাচ্চারা? এই স্বভাব কি কেবলই তাদের দোষেতেই হয়, নাকি কোথাও কোনও ফাঁক রয়ে যাচ্ছে আপনাদের দিক থেকেও। তবে আপনাকে খুব বেশি চিন্তা করতে হবে না এবং আপনার ধৈর্য হারাতে হবে না। কিছু সহজ উপায়ে আপনার এই দুষ্টু শিশুকে বাগে আনতে পারেন। তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেই উপায় গুলো কি কি।

১.সীমাবদ্ধতা তৈরি করুন- আপনার সন্তান যা বলবে তা গ্রহণ করবেন না। কিছু সীমাবদ্ধতা তৈরি করুন, সে কী চায় বা কী না চায় তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব আপনি ছেড়ে দেবেন না। নির্দেশের ভঙ্গিতে কথা বললে তা শিশুর পক্ষে বোঝা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। বরং তাকে খেলার ছলে নির্দেশ দিন। বেশির ভাগ শিশুই বুঝতে পারে না ঠিক কী করলে সে বকুনি খাবে না, এই টেনশন থেকেই সে কথা শোনার প্রবৃত্তি হারায়।

২.নিয়ম মেনে চলুন- প্রতিদিন শিশুর সঙ্গে আলাদা আলাদা আচরণ করবেন না। ধরুন, আপনি যদি একদিন শিশুটিকে দীর্ঘ সময় টিভি দেখতে নিষেধ করেন এর পর দ্বিতীয় দিন তাকে বেশি করে টিভি দেখার অনুমতি দিলেন, এর থেকে শিশুটি কিছুই বুঝবে না। তাই নিয়ম মেনে চলুন।

৩.কিছুটা স্বাধীনতা দিন- শিশুকে সব সময় বলবেন না তাঁর কী করা উচিত। তাকে তাঁর নিজের জামাকাপড় বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দিন, কী ভাবে সে খাবার খাবে তা তাকে ছোট সিদ্ধান্ত নিতে দিন।

৪.সারাক্ষণ সমালোচনা নয়- সন্তানের সমালোচনাই করে যান? অন্যের সঙ্গে তুলনা করে তাকে সর্বদা অপমান করেন। এমন করলে কিন্তু মুশকিল, এতে সন্তান আপনার বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা হারাতে পারে। আপনার যদি এমন স্বভাব থাকে তাহলে আগেই তা বদলে ফেলুন। সন্তান যেন কখনও আপনার কাছে তার নিজের মূল্যবোধ নিয়ে সংশয়ে না থাকে। এতে আরও অবাধ্য হয়ে উঠবে সে।

৫.কড়া শাসন করবেন না- সামান্য অবাধ্য হলেই কি তাকে কড়া শাসন করেন, এমন হলে কিন্তু নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন। সন্তানের হিতে যে কাজটা করছেন, তা যেন তার মনে উল্টো প্রভাব ফেলে দেয় আপনিই তার দূরের মানুষ হয়ে উঠবেন। তার চেয়ে ছোটখাটো ভুল করলে একটু বন্ধুর মতো বোঝান না, দেখবেন, ফল মিলবে হাতেনাতে।