বজরঙ্গবলির পুজো এই নিয়মে করলে কাটবে সমস্ত বাধা

বজরঙ্গবলির পুজো এই নিয়মে  করলে কাটবে সমস্ত বাধা

জীবনে সুখ ও দুঃখ কখনো বলে আসে না। তবে আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে ও কর্মফলে বুঝতে পারি যে সুদিন না দুর্দিন আসবে আমাদের জীবনে। হিন্দু দেব দেবীর তালিকায় হনুমান বেশ অন্য আসনে রয়েছেন। তার পুজো তো অনেকেই করেন। হিন্দুরা হনুমানের পুজো করলে মনে করেন সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। আবার যারা পুজো করবেন তাদের বুদ্ধিও তেজ হবে বলে প্রচলিত রয়েছে। পরিবারের ধন-সম্পদ বাড়বে। তবে এই পুজো সঠিকভাবে করার রয়েছে কিছু নিয়ম। সেই নিয়ম অনেকের কাছেই অজানা। তবে নিয়ম আর নিষ্ঠা ভরে পুজো না করলে ভগবান আমাদের প্রার্থনা শুনবেন কীভাবে? তাই জেনে নিন সেই নিয়মগুলি এই লেখার মাধ্যমে।

১. মঙ্গলবার হিন্দু শাস্ত্রে হনুমানজির পূজোর উল্লেখ রয়েছে। মঙ্গলবার স্নান করে হনুমানজির পুজো করলে ও পুজোর শেষে হনুমান চল্লিশা পাঠ করতে হবে। মঙ্গলবার হনুমানজি নাকি জন্মেছিলেন, তাই হিন্দুরা এই দিনটিকেই তার আরাধনার জন্যে পুজো করার উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নিয়েছেন।  তবে শনিবারও অনেকে হনুমানজির পুজো করে থাকেন। এই নিয়ে রয়েছে একটি গল্প। যখন রাবণ নবগ্রহকে বন্দি করেন সেই সময়ে হনুমানজি সীতাকে উদ্ধারের জন্য লঙ্কায় যান। হনুমান নবগ্রহকে উদ্ধার করেন আর নবগ্রহের মধ্যে শনিদেব হনুমানকে আশীর্বাদ দেন যে হনুমানের ভক্তের উপর কোনদিন শনি দেবের কুদৃষ্টি পড়বে না।

২. লাল কাপড় পরিহিত হনুমানজির মূর্তি বেজায় শুভ বলে মনে করা হয়ে থাকে। শুদ্ধ লাল কাপড়ের উপর হনুমানজির মূর্তি রাখবেন। ছবিও রাখতে পারেন সেই জায়গায়। ধূপ ও প্রদীপ জ্বালিয়ে ঠাকুরের গলায় পরান মালা। মেটে সিঁদুর দিয়ে পুজো করতে হবে তার। এই দেবতার প্রিয় ফল কলা। তাই পাঁচটি কলা নিবেদন করবেন হনুমানজিকে। ক্ষীর, লাড্ডুও নাকি তার পছন্দের। লাল ফুল অর্পণ করতে ভুলবেন না।

৩. মঙ্গলবার আর শনিবার পুজো করলে নিরামিষ আহার করবেন ভক্তেরা। তবে এমনটা যা করতেই হবে এমন বাধকতা নেই।