আইপিএলে ১৫ কোটির ঈশানকে বিশেষ বার্তা গার্লফ্রেন্ডের

আইপিএলে ১৫ কোটির ঈশানকে বিশেষ বার্তা গার্লফ্রেন্ডের

আইপিএলের মেগা নিলামে এবার বাজিমাত করেছেন ঈশান কিষান। আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্রিকেটার হিসেবে বিক্রি হয়েছেন তিনি। গত মরশুমে দুর্দান্ত ফর্মে থাকাতেই মিলল এই পুরস্কার। ১৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ভারতীয় ওপেনারকে কিনে নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। স্বাভাবিক ভাবেই এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ঈশান। আর ঈশানের গার্লফ্রেন্ড? তাঁর কী প্রতিক্রিয়া? কোনও রাখঢাক না রেখে ঈশানের গার্লফ্রেন্ড অদিতি হান্ডিয়া সোশ্যাল মিডিয়াতেই এ নিয়ে নিজের মনের কথা জানিয়েছেন।

 দু’জনে প্রকাশ্যে প্রেমের কথা স্বীকার না করলেও ভালবাসার খবর আটকে রাখতে পারেননি ঈশান ও অদিতি। একসঙ্গে ঘোরা থেকে রোম্যান্টিক ছবি পোস্ট- সবই সামনে এসেছে একে একে। আর চলতি আইপিএল নিলামে (IPL Auction 2022) রেকর্ড অঙ্কে ঈশান বিক্রি হতেই ফের শিরোনামে তাঁর প্রেমিকা অদিতি। মুম্বই তাঁকে দলে নেওয়ার পরই উচ্ছ্বসিত ইশান নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করেন। সঙ্গে লেখেন, “আমি বাড়ি ফিরছি মুম্বই।”

আর সেই ছবিতেই কমেন্ট বক্সে নিজের মন্তব্য জানালেন অদিতি। নিলামে বিপুল অর্থে বিক্রি হওয়ায় তিনি লেখেন, “গর্বিত এবং কেমন…”, এরপরই একটি আগুনের ইমোজি ও নীল রঙের হার্টের চিহ্ন। অর্থাৎ আরও একবার মুম্বইয়ের জার্সিতে ঈশানকে দেখতে যে মুখিয়ে রয়েছেন অদিতি, তা বলাই বাহুল্য।  ১৫ কোটির বেশি অর্থ পেয়ে একদিকে যেমন উচ্ছ্বসিত ঈশান (Ishan Kishan), অন্যদিকে কিন্তু নিলামে চড়া দাম ওঠায় রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন দীপক চাহার! শুনতে অবাক লাগলেও, এ কথা নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন চাহার।

কিন্তু কেন? ব্যাটে-বলে দুরন্ত ফর্মে থাকা চাহার রবিবার বলেন, “জাতীয় দলের বায়োবাবলের মধ্যে আছি। হোটেলে নিজের ঘরে বসে আইপিএল নিলাম দেখছিলাম। যখন আমার দাম ১৪ কোটিতে উঠে গিয়েছিল, ভাবছিলাম এর চেয়ে বেশি পাওয়া উচিত নয়। যদি চেন্নাই সুপার কিংস দর কষাকষি থেকে সরে দাঁড়াত, ভীষণ মন খারাপ হয়ে যেত।

আসলে আমি সিএসকে-র (CSK) হয়েই খেলতে চেয়েছিলাম। হলুদ জার্সি ছাড়া আইপিএলে নিজেকে যেন ভাবতেই পারি না। একবার মনে হয়েছিল অনেক বেশি দাম উঠে গিয়েছে। মনে হচ্ছিল, সিএসকে’র দলটাও ভাল হওয়া উচিত। ১৩ কোটি দাম উঠে যাওয়ার পরেই মনে হচ্ছিল এবার থামুক। তাহলে সিএসকে আরও কিছু ক্রিকেটার কিনতে পারবে।” নিজের নামের পাশে মোটা অঙ্কের অর্থ দেখে এই কারণেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল চাহারের।