ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোন কোন সবজি খাবেন জেনে নিন

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোন কোন সবজি খাবেন জেনে নিন

সামনেই উত্‍সবের মরশুম। তার আগে অতিরিক্ত ওজন ছেঁটে ফেলে ছিপছিপে তো হতেই হবে। কিন্তু রোগা হতে গিয়ে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা থেকে পুষ্টিকর খাবার বাদ দিলে চলবে না। ক্র্যাশ ডায়েটের পাল্লায় পড়ে উল্টে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।ওজন কমানোর জন্য ভাজাভুজি এবং কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কমিয়ে ডিশ ভরাতে হবে শাকসবজি ও ফলমূল দিয়ে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন কমাতে গেলে প্রথমেই আমাদের মাথায় আসে শাবসবজির কথা। তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোন সবজি খেলে ওজন কমে যায়।

১.পালং শাক- পাতাওয়ালা এই সবুজ সবজি নানা ধরনের পুষ্টিগুণে ঠাসা। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাসিয়াম এবং ফাইবার রয়েছে। পালংশাকে ক্যালোরির পরিমাণ অত্যন্ত কম। পালং শাক শুধু যে ওজন কমাতে সাহায্য করে তাই নয়, টাইপ ২ ডায়াবিটিস, হার্টের অসুখ এবং কোনও ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়।

২.ব্রকোলি- ফুলকপির মতো অনেকটা দেখতে হলেও ফুলকপি খেতে যেমন বেশিরভাগ মানুষই পছন্দ করেন, ব্রকোলির ক্ষেত্রে বিষয়টা ঠিক তেমন নয়। এই সবুজ সবজিকে অনেকেই পছন্দ করেন না। কিন্তু ব্রকোলিকে নিউট্রিয়েন্ট পাওয়ারহাউস বলা যেতে পারে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যাসলিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং আয়রন রয়েছে। ব্রকোলিতে আছে প্রচুর ফাইবার এবং ক্যালোরি কাউন্ট বেশ কম। সেই কারণে ওজন কমাতে অত্যন্ত উপকারী এই সবজি।

৩.ক্যাপসিকাম- ওজন কমাতে চাইলে ডেইলি ডায়েটের সঙ্গী করে নিতে হবে ক্যাপসিকামকে। এর মধ্যে আছে ভিটামিন সি, ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন ই, বি৬ এবং ফোলেট। ক্যাপসিকাম রান্না করা বেশ সহজ এবং এটি সহজেই অন্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া যায়। রঙিন এই সবজি জলের পরিমাণও বেশি। ক্যাপসিকাম আমাদের মেটাবলিজমের হার বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৪.টমেটো- টমেটোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপিন। টমেটো ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। পাশাপাশি নিয়মিত টমেটো খেলে বহু ক্রনিক অসুখের থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। 

৫.মিষ্টি আলু- মিষ্টি আলু রোস্ট করে তার ওপরে সামান্য নুন ও পাতিলেবুর রস ছড়িয়ে নিতে হবে। দুটো বড় মিলের মাঝে হালকা কিছু খেতে হলে এই স্ন্যাক দারুণ উপকারী। মিষ্টি আলুতে প্রচুর ফাইবার এবং কমপ্লেক্স কার্ব আছে। এটি ত্বকের পক্ষেও অত্যন্ত উপকারী। আলুর বদলে আপনি মিষ্টি আলু খেতে পারেন।

৬.মাশরুম- মাশরুম রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রেখে চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও মাশরুম প্রোটিনে ভরপরু, যা শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি জমাতে বাধা দেয়। ফলে ওজন বেড়ে যায় না।