কোন কোন নিয়ম মেনে চললে শরীর ঠিক থাকবে জেনে নিন

কোন কোন নিয়ম মেনে চললে শরীর ঠিক থাকবে জেনে নিন

আজকাল বয়স নয়, সুগার, প্রেশার, দেহের নানান জায়গায় ব্যথা এই সমস্ত রোগগুলি শরীরে বাসা বাঁধে অনেক ক্ষেত্রেই জীবনযাপনের ধরনের কারণে। তাই কম বয়স থেকে বেশি বয়স সকলের মধ্যেই এই সব রোগ নিয়ে খুবই সমস্যা থেকে যায়। এই সমস্ত রোগ এমনই বালাই, যা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিয়মের মধ্যে থাকলে নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়ম ভাঙলেই মাথা চাগাড় দিয়ে ওঠে।তবে শুধু এই রোগ নয়। যে কোনো রকম রোগই যাতে প্রাথমিক ভাবে ঠেকানো যায়, শরীরস্বাস্থ্য ভালো থাকে তার জন্য জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করা যেতে পারে। তার জন্য রয়েছে কয়েকটি নিয়ম যেগুলো মেনে চললে শরীর সুস্থ থাকে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই নিয়ম গুলো সম্পর্কে।

১.নানা ধরনের ফল ও শাকসবজি খেতে হবে- শরীর সুস্থ রাখতে কেবলমাত্র বেশি করে শাকসবজি খেলে হবে না।তার মধ্যে আনতে হবে রকমফের। অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ফলমূল খেতে হবে। প্রতি সপ্তাহে সব ধরন মিলিয়ে যদি কম করে ৩০ রকমের সবজি ও ফল খাওয়া যায় তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।

২.উপযুক্ত পরিমাণ জল খাওয়া- সারাদিন যেমন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া দরকার তেমনি বিশুদ্ধ জল খাওয়া এর দরকার আছে।কারণ পানীয় জল শুধু যে তেষ্টা মেটায় তাই নয়, শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখে, শরীরের অন্তরীণ জলের চাহিদা পূরণ করে সঙ্গে আরও একাধিক কাজ করে গোটা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে জল। ফলে জল পরিমাণ মতো জল খাওয়াটা খুবই দরকার।

৩.পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম- বর্তমান পরিস্থিতিতে সময়ের বড়ো অভাব। ফলে ঘুমের সময় কাটছাঁট কম বেশি সকলেরই হয়। তবে একটা কথা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেমালুম ভুলে যায় যে, শরীর একটি যন্ত্রের মতো। তাই তাকে যেমন কাজ করানো যায়, তেমনই দরকার তার বিশ্রামও। তার থেকেও বেশি ঘুম শুধু শরীরকে বিশ্রাম দেয় না। বিশ্রাম দেয় মাথাকেও। ফলে এই বিশ্রাম শরীরের জন্য অপরিহার্য একটি বিষয়। তাই প্রত্যেক মানুষের প্রতিদিন রাতে কম পক্ষে আট থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানো আবশ্যক। 

৪.নিজের ইচ্ছার মর্যাদা করা- খাবার, জল, ঘুমের পর যে বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হয় তা হল, নিজের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দেওয়া। অনেকেই আছেন পারিপার্শ্বিকের চাপে নিজের মনের ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখে। ভালো লাগা, খারাপ লাগাকে দাবিয়ে রেখে ভেতরে ভেতরে গুমরে থাকে।

৫.ব্যায়াম করা- শরীর সুস্থ রাখতে অবশ্যই নিয়ম করে হাঁটা বা ব্যায়াম করা যেতে পারে। যদি সম্ভব হয় জিমও করা যেতে পারে। এ ছাড়া নিয়ম করে মর্নিংওয়াক বা ইভিনিং ওয়াক তো আছেই। এই কাজগুলি শরীরকে সচল করে। এতে করে বাড়তি মেদ জমে শরীরকে অসুস্থ হওয়ার থেকে রক্ষা করা যায়। তাই কম করে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট এই কাজ করতে পারলে খুবই ভালো। 

৬.হাসা- হাসি একটি খুব ভালো ব্যায়াম বা ওষুধ বলা যেতে পারে শরীর ও মনের সুস্বাস্থ্যের জন্য। লোক মুখে ফেরে মন খুলে জোড়ে জোড়ে হাসলে হৃদয় ভালো থাকে।