মুক্তো কি কারণে পরবেন জেনে নিন

মুক্তো কি কারণে পরবেন জেনে নিন

প্রয়োজনে হোক বা প্রসাধণীর জন্যই হোক, মুক্তো অনেকেই ব্যবহার করেন। মানসিক অশান্তি বা চঞ্চলতার জন্য মুক্তো ধারণ করলে লাভ পাওয়া যায় এ কথা আমরা কম-বেশি সকলেই জানি। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে দাম্পত্য অস্থিরতা, মানসিক অশান্তি, আর্থিক অসচ্ছলতার জন্য মুক্ত ধারণ করলে উপকার পাওয়া যায়। রত্নের মধ্যে অন্যতম হল মুক্তো, এর অন্য নাম মোতি।

মুক্তো এক ধরনের শম্বুক জাতীয় প্রাণী ঝিনুকের মাধ্যমে তৈরী হয়। এটি দেখতে ছোট এবং প্রায়শই সাদা রঙের হয়ে থাকে। সাধারণত মোতি দেখতে গোলাকৃতি ধরনের হয়। এছাড়া, অর্ধ-গোলাকার, ডিম্বাকৃতি কিংবা অন্য যে-কোন বিভিন্ন আকৃতিরও হতে পারে। অলঙ্কার জগতে এর অসম্ভব জনপ্রিয়তা ও সুনাম রয়েছে। জুন মাসে জন্মগ্রহণকারী জাতকগণ প্রধাণ রত্ন হিসেবে মুক্তো ধারণ করে থাকেন। তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই মুক্ত কেন পরা উচিত।

১.পারিবারিক কলহ দূর করতে- পরিবারে যদি অবিরত কলহ বা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ থাকে, তা হলে তা দূর করার জন্য স্ত্রীকে মুক্তোর মালা পরানো যেতে পারে। এর ফলে লাভ হবে এবং পরিবারে শান্তি থাকবে। পাশাপাশি সমৃদ্ধির আগমনও ঘটবে।

২.সন্তানের সুস্বাস্থ্যের জন্য- সন্তানের অসুস্থতা সকল অভিভাবকেরই চিন্তার বিষয়। কম বয়সী বাচ্চারা কোনও না-কোনও কারণে অসুস্থ হয়েই থাকে। এমন পরিস্থিতিতে এই মুক্তো স্বস্তি দিতে পারে। মুক্তো বসানো রুপোর চন্দ্র বাচ্চার গলায় পরালে বাচ্চাদের স্বাস্থ্য লাভ হবে।

৩.সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম হলে- অনেকেই সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এই কারণে নানা ক্ষতির মুখেও পড়তে হয়েছে বহুবার। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে ব্যক্তি নিজের বাড়িতে অবস্থিত গণেশকে মুক্তোর মালা পরান। পাশাপাশি প্রতি সোমবার গণপতি স্তোত্র পাঠ করলে লাভ হবে। এর ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা মজবুত হবে।

৪.আর্থিক অভাব দূর করার জন্য- রোজগার ঠিকঠাক হলেও আর্থিক অভাবের হাত থেকে নিস্তার পান না অনেকে। যত আয়ই করুক না-কেন, অভাব থেকেই যায়। এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে দুটি মুক্তোকে হলুদ কাপড়ে বেঁধে ঠাকুরঘরে রেখে দিন। এর ফলে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভ করা যায়। আর্থিক অভাবের হাত থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।

৫.চঞ্চল মন ও রাগী স্বভাবের জন্য- কারও মন অত্যন্ত চঞ্চল, আবার কেউ কেউ স্বভাবজাত রাগী। চঞ্চল ও রাগী স্বভাবের কারণে অনেক সময় নানা ক্ষতিও হয়। একটি সুন্দর ও পরিষ্কার মুক্তোকে সাদা কাপড়ে বেঁধে নিজের কাছে রাখলে রাগ কমতে পারে। এর ফলে মন অশান্ত থাকবে এবং রাগও নিয়ন্ত্রনে থাকবে।

৬.চেষ্টা ও পরিশ্রম সত্ত্বেও উন্নতি না হলে- বহু প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমের পরও অনেক ব্যক্তি জীবনে সাফল্য ও উন্নতি লাভ করতে পারেন না। পরিশ্রম সত্ত্বেও একটি সময় তাঁদের কেরিয়ারের গতি শ্লথ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে একটি রুপোর বাক্সে মুক্তো রেখে, সেই বাক্সটিকে ব্যাগে বন্ধ করে রাখুন। এর ফলে উন্নতির পথ প্রশস্ত হবে।

৭.মহিলা ও বয়স্করা প্রায়ই অসুস্থ থাকলে- পরিবারের কোনও না-কোনও সদস্য, বিশেষত মহিলা ও বয়স্করা প্রায়ই অসুস্থ থাকলে পূর্ণিমার দিনে চালের ওপর মুক্তো রেখে বাড়িতে ব্রাহ্মণ ডেকে দান করুন। এর ফলে পরিবারের সদস্যরা রোগ মুক্ত থাকবেন।