গোমেদ ধারণ করলে কি কি উপকার পাওয়া যায় জেনে নিন

গোমেদ পাথর, ইংরেজিতে যাকে “Garnet Stone” বলা হয়। গোমেদ মধু রঙের খনিজ পাথর। বৈজ্ঞানিক ভাষায় এটি ক্যালসিয়াম এলোমিনিয়াম সিলিকেট এর জমাট বাধা টুকরা ছাড়া আর কিছুই না। বিশ্বাস করা হয় যে গোমেদ পাথর “রাহু” নামক গ্রহের জন্য জন্য উপকারী। যাদের জন্ম জানুয়ারি মাসে বিশেষ করে তাদের জন্য বার্থ স্টোন হচ্ছে গোমেদ পাথর।
এছাড়া যাদের মকর রাশি ও কুম্ভ রাশি তাদের জন্য উপকারী রাশি রত্ন পাথর হচ্ছে গোমেদ পাথর। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গোমেদ পাথর যায়। যেমন, ইন্ডিয়া, আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা। তবে পৃথিবীর সব থেকে ভালো মানের গোমেদ হচ্ছে শ্রিলাঙ্কান গোমেদ পাথর। যাকে সিলনি গোমেদ পাথর বলা হয়ে থাকে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই গোমেদ এর উপকারিতা সম্পর্কে।
১.মানসিক চিন্তা মুক্ত করে- মধু রঙা অথবা সরিষা তলের রঙা গোমেদ পাথর রাহু নাকম গ্রহের খারাপ প্রভাবের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং যে কোন নেগেটিভ মানুষিক চিন্তা এবং খারাপ শক্তি থেকে থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করতে পারে।
২.পায়ের সমস্যা- যে সকল মানুষের পায়ে পায়ে সমস্যা, একটার পর একটা সমস্যা লেগেই থাকে অথবা কোন কাজে হাত দিলেই সমস্যা এসে হাজির হয়, তাদের জন্য উপকারী রাশি রত্ন পাথর হচ্ছে গোমেদ পাথর।
৩.মনযোগ বৃদ্ধি পায়- গোমেদ পাথর ব্যবহারে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়, লক্ষ্য অর্জনে পরিষ্কার দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়, বিশেষ করে যে সকল শিক্ষার্থী বা চাকুরীজীবীরা গবেষণা মূলক কাজের সাথে জড়িত তাদের জন্য গোমেদ পাথর ব্যবহার উপকারী হতে পারে।
৪.সামাজিক ও আর্থিক উন্নতি- গোমেদ পাথর ব্যবহারে যে কোন পেশায় উন্নতি এবং সামাজিক ও আর্থিক দিকে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
৫.মৃগী রোগ ও আ্যলার্জি দূর করতে- এটা ব্যবহারে মৃগী রোগ, অ্যালার্জি, চোখের সংক্রামক, সাইনাস, পাইলস ও বুক ধরফরানো রোগে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
৬.ক্যান্সার ও অবসাদ দূর করতে- কিছু কিছু সময় এটা ক্যান্সার, রক্ত রোগ, ফোঁড়া, কুষ্ঠ, অন্ত্রের সমস্যা, অবসাদ ও উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যায় উপকার করতে পারে।