শনির গাছ শমী সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন

প্রতিটি গ্রহের একটি প্রতিনিধি গাছ বা বৃক্ষ থাকে। যেমন অশ্বত্থ বৃহস্পতির প্রতিনিধিত্ব করে, তেজফলের গাছ সূর্যের প্রতিনিধিত্ব করে, যে গাছ দিয়ে দুধ বেরোয় তা চন্দ্রের, ভালো মঙ্গলের জন্য নিম এবং বদ মঙ্গলের জন্য ঢাকের গাছ, কলা বা চওড়া পাতার গাছ বুধের প্রতিনিধিত্ব করে। শুক্রের জন্য কার্পাস, রাহুর জন্য চন্দন বা নারকেল, কেতুর জন্য তেঁতুল হওয়া ভালো। ঠিক এ ভাবেই শনির জন্যও পৃথক বৃক্ষ রয়েছে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক শনি গাছ সম্পর্কিত কিছু তথ্য সম্পর্কে।
১.শনির অধিকার শমী গাছ- শমী, কীকর ও খেজুর শনির কারক। এ ছাড়াও বিষাক্ত ও কাঁটাযুক্ত গাছ, খারী সবজি, বিচ্ছোলের শিকড় ও তামাকেও শনির অধিকার আছে। পশুদের মধ্যে মোষ, পোশাকে মোজা ও জুতো। বস্তুর মধ্যে মধু, লোহা ও রত্নের মধ্যে নীলম। উল্লেখ্য, ধনিষ্ঠা নক্ষত্রের কারকও শমী বৃক্ষই।
২.শনির প্রকোপ শান্ত করতে- এগুলির মধ্যে শমী ছাড়া অন্য কোনও গাছ লাগানো উচিত নয়। তবে কোষ্ঠি যাচাই করে সঠিক দিকে শমী গাছ লাগানো উচিত। বায়ব্য শনির দিক। এই গাছের পুজো করলে শনির প্রকোপ শান্ত হয়। কারণ শমীকে সাক্ষাৎ শনির স্বরূপ মনে করা হয়।
৩.লোহার বস্তুর অবস্থান ঠিক রাখতে হবে- লোহা সকলের বাড়িতেই থাকে। লোহার ভারী আসবাব বা বস্তুকে দক্ষিণ দিকে রাখা উচিত। আবার জুতো এবং মোজাও সঠিক দিকে রাখা উচিত। বাড়িতে মধু রাখলে এবং খেলে শনি শান্ত থাকে।
৪.শমী গাছ লাগানো দরকার- রাহুর দোষ দূর করতে চাইলে চন্দনের গাছ লাগানো উচিত। শনির বাধা দূর করতে চাইলে শমীর গাছ লাগাতে হবে।
৫.বুধবারে শমী পাতা অর্পন- বিজয়াদশমীতে সোনা-রুপো হিসেবে শমীর পাতা বিতরণ করা হয়। আয়ুর্বেদেও শমীর গাছকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মনে করা হয় বুধবার গণেশকে শমীর পাতা অর্পণ করলে জাতক তীক্ষ্ণ বুদ্ধির অধিকারী হয়। এর পাশাপাশি কলহের অবসান ঘটে।
৬.কৃষি সংকট দূর হয়- আয়ুর্বেদ অনুযায়ী কৃষি সঙ্কটেও এই গাছের ফলে লাভ হয়। বিজয়াদশমীর দিনে শমী গাছের পুজো করলে পরিবারে তন্ত্র-মন্ত্রের প্রভাব দূর হয়। যেখানে এই গাছ লাগানো থাকে এবং নিয়মিত পুজো করা হয়, সেখান থেকে বিপদ দূর হয়।
৭.সুখ শান্তি পাওয়া যায়- প্রদোষ কালে শনি গাছের সম্মুখে গিয়ে প্রণাম করে, জল অর্পণ করতে হবে। এর পর গাছের সামনে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করে নিয়ম মেনে পুজো করুন। শমী পুজোর গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রও উচ্চারণ করুন। এর ফলে সমস্ত কষ্ট দূর হয় এবং সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি লাভ করা যায়।