অম্বুবাচীর ব্রত চলাকালীন ভুলেও এই কাজগুলো করবেন না, অনর্থ হবে

লোকবিশ্বাস মতে, আষাঢ় মাসে মৃগ শিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হলে পৃথিবী বা ধরিত্রী মা ঋতুময়ী হয়। এই সময়টিতে অম্বুবাচী পালন করা হয়। বাঙলা প্রবাদে রয়েছে ‘কিসের বার কিসের তিথি, আষাঢ়ের সাত তারিখ অম্বুবাচী।’ এ দিন থেকেই হয় অম্বুবাচী শুরু। জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, সূর্য যে বারের যে সময়ে মিথুন রাশিতে গমন করেন, তার পরবর্তী সেই বারের সেই কালে অম্বুবাচী হয়। অর্থাৎ, পৃথিবী এই সময়ে ঋতুমতী হন। অম্বুবাচীর সময় ভুলেও এই কাজ গুলো করবেন না, চরম অনর্থ হবে ।
এ বছর অম্বুবাচী শুরু আগামিকাল, মঙ্গলবার, ২২ জুন থেকে । অম্বুবাচীর তিন দিন পর্যন্ত কোনও ধরনের মাঙ্গলিক কাজ করা যায় না। চতুর্থ দিন থেকে কোনও বাধা থাকে না। অম্বুবাচীর সময় হাল ধরা, বৃক্ষরোপণ, গৃহ প্রবেশ, বিবাহ ইত্যাদি শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ, এই সময়ে মঠ-মন্দিরের প্রবেশদ্বারও বন্ধ থাকে। অম্বুবাচীরর তিন দিনের ব্রত চলাকালীন কোনও গরম খাবার খাওয়া চলবে না।
ব্রত শুরু হওয়ার আগে যে রান্না করেছিলেন, তাই তিনদিন ধরে অল্প অল্প করে খেতে হবে। এই সময়ে কোনও বিশেষ পুজো করা বারণ। কোনও বছর যদি এই সময় জগন্নাথদেবের রথযাত্রা পড়ে, তবে তা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই হতে পারে। কারণ, এই সময়ে নিত্যকর্ম হবে, কাম্য কর্ম হবে না। রথযাত্রা নিত্যকর্ম। যাঁরা শাক্তমন্ত্রে দীক্ষিত, তাঁরা জপ করতে পারেন।
এই সময়ে গুরু বা গুরুমা পূজা করতে পারবেন। সমস্ত দেবীর মূর্তি, ছবি বা পট লাল কাপড়ে ঢেকে রাখুন। ভুলেও মূর্তি বা পট স্পর্শ করবেন না। পূজার সময় কোনও মন্ত্র পাঠ করবেন না, কেবল ধূপ-দীপ দেখিয়ে প্রণাম করুন। অসমের কামাখ্যা মন্দিরে অম্বুবাচী উপলক্ষ্যে উৎসব পালন করা হয়। সূর্যের দক্ষিণায়নের দিন থেকে তিন দিন অর্থাৎ আষাঢ়ের ৭ তারিখ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে এই পার্বণ।