হাতের লেখা দেখে মানুষের স্বভাব বর্ণনা

হাতের লেখা সাদৃশ্যের ক্ষেত্রে Man to man ভ্যারি করে। একজন মানুষের হাতের লেখার সাথে অন্য একজন মানুষের হাতের লেখার কখনই মিল হয় না। অনুরূপভাবে বলা যায়, হস্তলিপির সঙ্গে চরিত্রগত পার্থক্যও ফুটে ওঠে। যেমন —
ক) যাদের হাতের লেখা খুব সুন্দর — টাইপ করার মত সুস্পষ্ট তারা ব্যক্তিগত জীবনে প্রতিভাবান হওয়া সত্ত্বেও যোগ্যতা অনুযায়ী সম্মান পায় না। তারা সংযমী ও সৎ হয়।
খ) যাদের সুন্দর প্যাঁচানো হাতের লেখা — প্যাঁচানো কিন্তু একদিকে হেলানো তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়।জীবনে উত্থান পতনের চরম সাক্ষী, মাঝে মধ্যে অতিরিক্ত ভোগবিলাসী হতে পারে।
গ) সুন্দর কিন্তু বড় বড় টানা হাতের লেখা — যাদের হাতের লেখা সুন্দর বড় বড় টানা টানা অক্ষরের — তারা সংসারী হয়। তাদের জীবনে অনেক সুযোগ আসে এবং অর্থভাগ্য ভাল হয়।
ঘ) যারা সমান্তরাল লাইনে লেখা রাখতে পারে না — লিখতে লিখতে কখনো উপরের দিকে বা নীচের দিকে লাইনটা শেষ হয় তাদের ক্ষেত্রে উচ্চাশা থাকা সত্ত্বেও তারা আশা অনুরূপ ফল পায় না। তার ফলস্বরূপ হতাশা, মাথা গরম দেখা যায়।
ঙ) যারা সমান্তরাল লাইনে লেখা শেষ করতে পারে—তারা ভদ্র, নম্র, শান্ত, সফল পরিচালক এবং অপরকে বোঝার ক্ষমতাও প্রচুর থাকে। এরা খ্যাতি, যশ পেতে বেশি ভালবাসে।
চ) যাদের হাতের লেখায় লাইনের সাথে লাইনের কোনও সাদৃশ্য নেই—এমনকি অক্ষরের সাথে কোনও সাদৃশ্য নেই লেখার মধ্যে বৈসাদৃশ্য প্রকট তাদের ক্ষেত্রে বলতে হয় এরা উদাস প্রকৃতির হয়ে থাকে, মনের ওপর আস্থা কম থাকে।
ছ) যারা খুব ছোট ছোট ঘন সুন্দর সন্নিবিস্টভাবে অক্ষরগুলি সাজিয়ে লেখে — দেখা যায় জায়গা থাকা সত্ত্বেও কাগজের এককোণে লেখাগুলি জড়ো হয়ে থাকে। এরা সাধারণত জীবনে খুব হিসাবী হয়, হিসাবের বাহিরে এক পা চলতে চায় না। বন্ধু কম থাকে। অর্থভাগ্য ভাল। এরা জীবনে খুব সুখী হয়।
জ) যারা সমান্তরাল লাইনে লেখা শেষ করতে পারে — তারা ভদ্র, নম্র, শান্ত, সফল পরিচালক এবং অপরকে বোঝার ক্ষমতাও প্রচুর থাকে। এরা খ্যাতি, যশ পেতে বেশি ভালবাসে।