নানান রোগ নিয়ন্ত্রণে ক্যাপসিকাম

নানান রোগ নিয়ন্ত্রণে ক্যাপসিকাম

ক্যাপসিকাম অ্যানাম বলে লঙ্কার ভারতীয় প্রজাতিকে ইংরেজিতে ক্যাপসিকাম বলা হয়। ঝাল ক্যাপসিকামের অন্যান্য বাকি সব প্রজাতি কাঁচালঙ্কা হিসেবে পরিচিত। দেখা গেছে, সাধারণ ভাবে ক্যাপসিকামের ২০ থেকে ২৭টি প্রজাতি আছে। তবে এদের মধ্যে ৫টি প্রজাতিই মোটামুটি ভাবে পরিচিত। ক্যাপসিকাম অ্যানাম ছাড়াও বাকি চারটি হল ক্যাপসিকাম ব্যাককাটাম, ক্যাপসিকাম চাইনেনস, ক্যাপসিকাম ফ্রুটিসেনস ও ক্যাপসিকাম পিউবিসেনস।

জায়গা এবং ধরনের ওপরে নির্ভর করে ক্যাপসিকাম বা লঙ্কা গাছের নানা ধরনের নাম হতে পারে। মশলায় ব্যবহৃত মরিচ শুধু লঙ্কা বা শুকনো লঙ্কা হিসেবে পরিচিত। স্বাদের জন্য সারা বিশ্বেই ক্যাপসিকাম বেশ সমাদৃত। আমাদের দেশেও এই সবজিটির কদর দিন দিন বাড়ছে। বাজারে সাধারণত সবুজ, হলুদ, লাল এই তিন রঙের ক্যাপসিকাম পাওয়া যায়। তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই ক্যাপসিকাম এর উপকারিতা সম্পর্কে।

১.আয়রনের ঘাটতি পূরনে- যাদের আয়রনের ঘাটতি রয়েছে,তাদের প্রতিদিন লাল ক্যাপসিকাম খাওয়া উচিত। এটি প্রায় ৩০০% ভিটামিন-সি সরবারহ করে যা আয়রন তৈরিতে ভূমিকা রাখে ।

২.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে- ভিটামিন সি যা এতে রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং শক্ত কোলাজেন তৈরি করে যাতে ত্বক ও জয়েন্ট ভালো থাকে ও আরথ্রাইটিস রোধ করে৷ভিটামিন-কে রক্তজমাট বাধাতে সাহায্য করে।

৩.চুলের জন্যও উপকারী ক্যাপসিকাম- সুন্দর, মসৃন লম্বা চুল কে না চায়। খাদ্য গ্রহনে একটু সচেতন হলে পাওয়া যেতে পারে কাঙ্খিত মসৃন ও খুশকি মুক্ত চুল। ক্যাপসিকামে রয়েছে এমন সব উপাদান যা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করবে।

৪.কোলেস্টেরল কমাতে- এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাপিসিসিন থাকে। ক্যাপসিসিন কোলেস্টেরল এর মাত্রা ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়। আলসার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং ইমিউনিটিকে উন্নত করে।

৫.মিউকাস গ্ৰন্থিকে সুস্থ রাখে- এটা নাকে এবং ফুসফুসে জমে যাওয়া মিউকাস গ্রন্থিকে পরিষ্কার করে এবং ঘামের মাধ্যমে বিষাক্ততা কমায়।

৬.আলসার,ডায়ারিয়া, বদহজম দূর করে- ক্যাপসিকামের জুস গ্যাস্ট্রুইনটেস্টাইনাল বিশৃঙ্খলা দূর করে। যেমন- আলসার, ডায়রিয়া, বদহজম দূর করে। এটি শ্বাসনালীর সমস্যাও কমায়, যেমন- আ্যজমা, এমফেসেমা, ফুসফুসের আক্রমন। এর জুস পান নাকে রক্তক্ষরণ ও গলাব্যাথা কমায়।