শরীরের সুস্থতায় সুজির উপকারিতা

সুজি এটি একটি অতি পরিচিত সুস্বাদু খাবার। অনেক মানুষ জলখাবার এর সময় খায়। আবার অনেক মানুষ লুচির সাথে সুজি বানিয়ে খায়। আসলে সকালের জলখাবারে সুজির গ্রহণযোগ্যতা থাকুক বা নাই থাকুক সুজি একদিকে যেমন একাধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ অন্যদিকে সুজির বহু স্বাস্থ্যোপযোগীতাও রয়েছে। হিন্দি ভাষায় সুজি আবার রাভা নামেও পরিচিত। তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই সুজির উপকারিতা সম্পর্কে।
১.ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখে- ওজন কমানোর জন্য সুজি ভালো ভাবে কাজ করে। সুজিতে অত্যাধিক পরিমাণে ফাইবার থাকে যা খিদে কমাতে সাহায্য করে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২.দেহের শক্তি বাড়ায়- মানুষ এর শরীরের প্রতিটি অঙ্গ ভালোভাবে কাজ করার জন্য শরীরের প্রচুর শক্তি এর প্রয়োজন হয়। সুজি এই শক্তির একটি ভালো উৎস।
৩.মধুমেহ রোগের ঝুকি কমায়- মধুমেহ রোগ নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে সুজির ভূমিকা অপরিসীম। একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে জানতে পারা গেছে যে ডায়টারী ফাইবারের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে গ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রন করে, যা টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
৪.বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপে সহায়তা করে- শারীরিক কার্যকলাপ সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য অনেকরকম পুষ্টির প্রয়োজন হয়। সুজিতে উপস্থিত ভিটামিন বি ৬ লোহিত রক্ত কণিকা প্রস্তুতে সহায়তা করে। এবং একইসাথে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে।
৫.শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে – শরীরে আয়রন প্রয়োজনের তুলনায় হ্রাস পেলে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া রোগের সম্ভবনা দেখা দেয়। সুজি আয়রন সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে খাদ্য হিসেবে সুজি গ্রহণ করলে তা শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে। এরফলে দেহে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার সম্ভবনা কমে যায়।
৬.কোলেস্ট্রোল নিয়ন্ত্রক – সুজি দেহের কোলেস্ট্রোলের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রন করে। কারণ সুজিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে নিয়াসিন।একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে নিয়াসিন রক্তে কোলেস্ট্রোলের মাত্রা ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রন করে।